প্রতিদিন সকালে সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে শ্রাবণ মাসটাও বৃষ্টি শূন্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। একরাশ হতাশা যখন ধীরে ধীরে চাষীসহ জেলা কৃষি দফতরের অধিকর্তাদের গ্রাস করছিল।
#পূর্ববর্ধমান : প্রতিদিন সকালে সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে শ্রাবণ মাসটাও বৃষ্টি শূন্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। একরাশ হতাশা যখন ধীরে ধীরে চাষীসহ জেলা কৃষি দফতরের অধিকর্তাদের গ্রাস করছিল। ঠিক তখনই হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টিতে ভিজল জেলার একাধিক জায়গা। আগষ্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ আগষ্ট মাসের চার তারিখ এই চার দিন জেলার একাধিক জায়গায় হয়েছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে যথেষ্ট স্বস্তি পেয়েছন সাধারণ মানুষসহ পশুপাখিরা ও। খুশি চাষীরাও। গত কদিন ধরে শহর বর্ধমানে তাপমাত্রা যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী ছিল এবং আদ্রতার জেরে অস্বস্তি কর পরিস্থিতিতে পৌঁছেছিল সাধারণ মানুষ। তাই এই বৃষ্টিতে যথেষ্ট উপকৃত সাধারণ মানুষ। তবে একই গতিতে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে বহু জায়গায় চাষের জমির আলের ক্ষতি হয়েছে।
advertisement
ধানের চারা রোপণ করতে যাওয়া কৃষকরা জমি থেকে উঠে আসতে বাধ্য হয়। ধানের চারা পড়ে থাকে মাঠে। মাঠের ধারে থাকা কৃষিজমি ও পুকুর মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। তবে এসবের পরও বৃষ্টি হওয়ায় একটু স্বস্তি পেয়েছেন চাষীরা। স্বস্তি পেয়েছে কৃষি দফতর।
স্থানীয় কৌস্তব আহম্মেদ বা রাকেশরা বলেন, পুরো জুলাই মাসটা খরা ছিল, বৃষ্টি হওয়ায় সত্যি খুব উপকার হল। চাষবাসের যেমন সুবিধা হল তেমনই সাধারণ মানুষেরও একটু স্বস্তি মিলল। প্রচন্ড গরমে হাসফাঁস করছেন সকলেই।
তাই এভাবে একদিন না, টানা বেশ কয়েকদিন যদি বৃষ্টি হয় তাহলে খুব ভালো হয়। এখনও যা সময় বাকি রয়েছে বর্ষার তাতে কয়েকটা এরকম ভারি বৃষ্টি হলে চাষের ক্ষতি কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন জেলার কৃষিজীবীরা।