এখন কি করে চলব, তাঁত তো বন্ধ হয়ে গেছে । মার্কেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারছি না । বাজারে সুরাটের শাড়ি এসেছে তারপর থেকে জামদানি শাড়ি আর চলছে না । বেচা-কেনায় অসুবিধা হচ্ছে। আমার নিজের আর্থিক অবস্থা খারাপ। আমি যে শাড়ি তৈরি করে কোনও এক জায়গায় বিক্রি করব সেই রাস্তাও আমি পারছি না । অর্থের অভাবে এবং বাজারে গুজরাটের সুরাটের শাড়ি আসার কারণে এখন আর বিক্রি নেই তাঁতের। তাই তাঁত বোনা ছেড়ে চাষের কাজে লেগেছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত এই তাঁত শিল্পী।
advertisement
জামদানি শাড়ি না বোনার কারণ প্রসঙ্গে এই শিল্পী আরও জানান , জামদানি শাড়ি বুনছি না আমাদের অর্থের অভাব এবং বেচাকেনাও নেই। সুরাটের শাড়ি ওঠার পর ওই শাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারা যাচ্ছে না । আমি একটা শাড়ি যদি বুনি নরমাল শাড়ি বুনতে পাঁচ দিন সময় লাগবে। একটা লেবারের মজুরি যদি ৩০০ টাকা হয় তাহলে পাঁচ দিনে হচ্ছে ১৫০০ টাকা । শাড়িটা আমার বিক্রি হচ্ছে বড়জোর হাজার টাকায় । আর সুরাট থেকে যে শাড়ি আসছে একই শাড়ি ওরা বিক্রি করছে ৩৫০ টাকায় , ডিজাইন একই সবই এক ওরা এই কম দামে বিক্রি করছে যে কারণে আমাদের হাতে বোনা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন– হাই সুগার থাকা সত্ত্বেও চিনির বদলে গুড় খাচ্ছেন? হিতে বিপরীত হলেই কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি!
তবে যাতে এই সুরাটের শাড়ি বাংলাতে আসা বন্ধ হয় সে বিষয়ে একাধিক বার প্রসাশনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান বানেশ্বর সরকার। বানেশ্বর সরকার আরও জানান, সুরাটের শাড়ি এসেই আমাদের জামদানি শাড়িটাকে একদম শেষ করে দিল । একদম বন্ধ, একদম ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মূল কারণ ওই সুরাটের শাড়ি। তাই বর্তমানে সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে , শাড়ি বিক্রি না হওয়ার না কারণে এবং সুরাটের শাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পেরে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পীকেও বেছে নিতে হয়েছে মাঠের কাজ ।
Bonoarilal Chowdhury