TRENDING:

East Bardhaman News- কোমরে দড়ি পরিয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে রোড মার্চ পুলিশের, চোর চেনাতেই এই উদ্যোগ জামালপুর পুলিশের

Last Updated:

এই বিষয়ে আইনজীবীদের মত, "এভাবে পুলিশ কখনই কোনও অভিযুক্তকে রাস্তায় কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরাতে পারে না।"

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব বর্ধমান: ভোট আসলেই পুলিশকে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় রোড মার্চ করতে। তা বলে পুলিশ চুরির দায়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় রোড মার্চ করবে, এমনটা বোধহয় সকলের কাছেই কল্পনার অতীত। কিন্তু এটা কোন গল্পকথা নয়। বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। পর পর তিনটি দোকানে চুরির ঘটনায় অভিযুক্তদের কোমরে দড়ি পরিয়ে রোড মার্চ করে দীর্ঘ সড়ক পথে ঘোরালো পুলিশ কর্মীরা। এলাকার সকল মানুষজনকে অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিয়ে সচেতন করে রাখাই ছিল এই রোড মার্চের উদ্দেশ্য। অভিযুক্তদের চেনাতে জামালপুর থানার পুলিশের এমন কৌশল প্রথমে সবাইকে হতবাক করে ঠিকই। পরে অবশ্য অভিযুক্তদের ছবি তুলে রাখা নিয়ে পথচারীদের মধ্যে পড়ে যায় হুড়োহুড়ি।
advertisement

এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রীতিমত প্রশ্নের মুখে পড়েছে জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রকাশ্যে কোমরে দড়ি বেঁধে দুই যুবককে রাস্তায় ঘোরানোর সময় পুলিশের সঙ্গে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়াররা বলছে, এরা চোর, এদের চিনে রাখুন। প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগেই ধৃত ব্যক্তিদের চোর বলে দেওয়া হল, তাও জনসমক্ষে। জামালপুর থানা এলাকার সড়ক পথের পাশেই রয়েছে বেশ কিছু দোকান। দিন দুই আগে রাতের অন্ধকারে এলাকার তিনটি দোকানের চাল ভেঙে দোকানে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালায় কেউ বা কারা বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন দোকান খুলতেই চুরির ঘটনা নজরে আসে দোকান মালিকদের। তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধানে নামে। এরপর সেখ সাবির ও লব বেরা নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সাবিরের বাড়ি জামালপুর থানা থেকে দু কিলোমিটার দূরে সেলিমাবাদ গ্রামে। অপর ধৃত লবের বাড়ি প্রায় একই দূরত্বে থাকা পুলমাথা এলাকায়। জেরায় ধৃতরা দোকানে চুরির কথা স্বীকার করে নেয়।

advertisement

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, চুরির ঘটনায় ধৃত দুই যুবক তাদের দোষ স্বীকার করছে প্রকাশ্যে। তারা তাদের নাম, ঠিকানাও বলছে। এমনকি কিভাবে, কি কি চুরি করেছে তাও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানাচ্ছে। এরপর পুলিশ তাদের নিয়ে চুরি হওয়া সামগ্রী উদ্ধারে নামে। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রী। এর পরই ধৃত দুজনের কোমরে দড়ি পরিয়ে রাস্তায় নামেন থানার পুলিশ কর্মীরা। জামালপুরের পথে ঘোরানো হয় অভিযুক্তদের। পুলিশের সঙ্গে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়াররাই পথচারীদের ডেকে ডেকে বলেন, 'দেখে রাখুন এই দুই যুবককে। রাতে এদের এলাকায় দেখলেই আপনারা সচেতন হবেন। প্রয়োজনে পুলিশকে জানাবেন।' পুলিশের লোকজনের মুখ থেকে এমন কথা শোনার পরই অভিযুক্তদের ছবি মোবাইল ফোনে ক্যামেরা বন্দি করে রাখার হিড়িক পড়ে যায় সকলের মধ্যে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ঘরে বসে এইভাবে হচ্ছে 'মোটা' ইনকাম, পথ দেখাচ্ছেন গৃহবধূ! বড় সুযোগ মিস করবেন না
আরও দেখুন

এই বিষয়ে জামালপুর থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, এলাকার মানুষজন যাতে চোরেদের চিনে রাখতে পারে তাই তাদের এলাকায় ঘোরানো হয়েছে। ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। জামালপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে দুই চোরের ছবি এদিন মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন রায়নার বাসিন্দা পঞ্চাশ উর্ধ্ব হারাধন বৈরাগ নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, "এলাকার লোকজনকে চোরেদের চেনাতে পুলিশের চোরেদের নিয়ে রোড মার্চ জীবনে এই প্রথম দেখলাম। চোরদেরকেও দেখলাম। চোর চেনাতে পুলিশের এমন অভিনব কৌশল ক্যামেরা বন্দি না করে থাকতে পারলাম না। রায়নার বাসিন্দাদেরও এই চেরেদের সম্পর্কে জানাবো।" জেলা পুলিশ সুপার জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্যই ওই দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে। এভাবে কাউকে চিহ্নিত করা যায়না। এবিষয়ে আইনজীবীদের মত, " এভাবে পুলিশ কখনই কোনও অভিযুক্তকে রাস্তায় কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরাতে পারে না।"

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
East Bardhaman News- কোমরে দড়ি পরিয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে রোড মার্চ পুলিশের, চোর চেনাতেই এই উদ্যোগ জামালপুর পুলিশের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল