মাঠে ছাগলের ঘাস কাটা ফেলে রেখে গিয়েছিলেন লটারির টিকিট কাটতে। পকেটে টাকা না থাকায়, লটারি বিক্রেতার কাছে ধার করে কিনেছিলেন লটারির টিকিট। আর তার পরেই যা ঘটল,তাতে এক নিমেষে বদলে গেল তাঁর জীবন। ষাট টাকা দিয়ে টিকিট কিনে, এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জিতলেন মঙ্গলকোটের খুর্ত্তুবাপুর গ্রামের বাসিন্দা ভাস্কর মাঝি।
advertisement
আরও পড়ুন Hooghly News: ভরণপোষণ করতে পারবেন না বলে সন্তানকে দত্তক! গর্ভধারিণী মা সহ শিশুকে পাঠানো হল হোমে
দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারের ঘরের চাল ফুটো , বৃষ্টি হলেই তা দিয়ে জল পরে।লোকের জমিতে কাজ করে আর ছাগল চাষ করে দিন কাটে তাঁর। এই প্রসঙ্গে ভাস্কর মাঝির স্ত্রী সুমিত্রা দেবীর প্রতিক্রিয়া, “আমাদের খুব কষ্টের সংসার। স্বামীর মাঝে মধ্যে টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল। এ নিয়ে আপত্তিও করতাম। তবে টিকিট কেটে যে এভাবে আমাদের সুদিন আসবে ভাবতেই পারিনি। ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন।”
অন্যদিকে বাবার লটারি জেতায় খুশি ভাস্কর মাঝির দুই মেয়ে নয়ন দেবী ও কল্পনা দেবী। এই দিন প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে , এই দিন ভাস্কর বাবু নপারা বাস স্ট্যান্ডের কাছে জমিতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এরপর ন’পাড়া বাস স্ট্যান্ড লাগেয়া একটি লটারির টিকিটের দোকানে ধার করে লটারি টিকিট কাটেন তিনি। এই প্রসঙ্গে লটারির দোকানের মালিক মমিজুল শেখ বলেন, “ভাস্কর দা আমার কাছে মাঝেমধ্যে টিকিট কাটতেন। আজ ওর কাছে টাকা ছিল না তাই ধারেই টিকিট নিয়ে গিয়েছিলেন। ওর কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ায় আমরা খুব খুশি।”
লটারিতে বিরাট অংকের টাকা জিতে আনন্দে আত্মহারা এই পরিবারটি। আপাতত এই টাকায় মাথার উপর পাকা ছাদ এবং চাষের জমি কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভাস্কর মাঝি ও তার পরিবার।পাশাপাশি,রাতারাতি লটারি জিতে ভাগ্য বদলে যাওয়ায় রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী