পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পেটে যন্ত্রণা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নয়ন বাগ। মঙ্গলবার ভোর রাতে হঠাৎ তিনি জরুরি বিভাগের দুতলা থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে নীচের তলায় চলে আসেন। সেখানেই গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন নয়ন।
আরও পড়ুন- অল্প খরচেই দারুণ মুনাফা! কী চাষে মজলেন বর্ধমানের চাষিরা?
advertisement
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এতো নিরাপত্তারক্ষী ও সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটল, প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চলে আসেন সুপার তাপস ঘোষ। তিনি এসে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘুম থেকে তোলেন এবং মৃতদেহটি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন। পরে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসকেরা নয়ন বাগকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে আসেন বর্ধমান থানার আই.সি সুখময় চক্রবর্তী সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- ১৭ মাসের দিতিপ্রিয়া আক্রান্ত ব্রেন ক্যান্সারে, চিকিৎসা চলছে
মৃতের স্ত্রী মিঠু বাগ জানান, পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হুগলির গোঘাটের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন নয়ন বাগ। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত আড়াইটে নাগাদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী নয়ন বাগ। এই ঘটনায় তিনি হাসপাতালের নিরাপত্তা গাফিলতির দিকে অভিযোগ তোলেন।
মিঠুদেবী জানান, নয়ন বাগের পেটে প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল। তিনি বারবার নার্স ও চিকিৎসকদের বলেন। সকালে ছাড়া কিছু করা যাবে না বলে তাকে বলা হয়। বাথরুমে যাবার নাম করে রোগী নীচে নেমে আসেন সম্ভবত লিফটে করে। তিনি তা স্পষ্ট জানেন না। তাঁর ধারণা, এত কষ্ট সহ্য করতে না পারায় এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁর স্বামী। যদিও এই বিষয় নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি।
Malobika Biswas