ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ স্থানীয় আব্দুল রফিক সেখ নামে এক ব্যক্তির ১২ কাঠা বাস্তু জমির দু’জায়গায় ধস নামে। তারপর বিষয়টি গুটিকয়েক প্রতিবেশীর নজরে আসে। মাটির নীচে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই সতর্ক হয়ে যায়। গবাদি পশুদেরও ওই জমিতে এখন যেতে দিচ্ছেন না স্থানীয়রা। পরবর্তীতে রাতের দিকে ওই জমির আরও দু’জায়গায় ভূমিধস নামে।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবন আসলে কার? বিতর্কের আবহে চমকে দিল মোদির মন্তব্য
আবার অন্যদিকে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামেরই একটি ঢালাই রাস্তার পাশে সামসুর আলম নামে এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত কৃষিজমির দু’জায়গায় ভূমিধস নামে। সেটা নজরে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরবর্তীতে আরও দেখা যায় এই রকম বেশ কয়েকজনের জমিতেই ধস নেমেছে। এরপরেই শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় আরও ভূমিধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের জানানো হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
জয়কৃষ্ণপুরের বিষয়টি জানার পর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তথা বিশিষ্ট ভু-বিজ্ঞানী প্রণয় মন্ডল এই ভূমিধসের কারণ জানিয়ে বলেন, ‘‘জয়কৃষ্ণপুরে যে ঘটনাটি ঘটেছে সাধারণত আমাদের এই দিকে এই ধরনের ঘটনা লক্ষ্য করা যায় না। বেশ কিছু কারণের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য যে অতিরিক্ত পরিমাণে ভৌম জল উত্তোলন করা হয়েছে, তার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত ওই এলাকার মাটি পলি মাটি। বালির পরিমাণ বেশি, তাই বালির মধ্যে অবস্থিত জল বার করে নেওয়ার কারণেই এটি হয়েছে। এছাড়াও মূলত গাছ মাটি ধরে রাখে, আর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’’