রূপালি হাঁসদা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বাড়ি গলসির সাটিনন্দী গ্রামে। অভাব-অনটন রূপালির সংসারে নিত্যসঙ্গী। পেটের ভাতের জন্য বাধ্য হয়ে পরের জমিতে ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজ করেন। এলাকার মানুষের কাছে তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রশংসাই শোনা যায়। দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে কোনদিন কোনও বিষয়ে অর্থ আদায় করেছেন এমনটা ভুলেও কেউ বলতে পারবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: নিমতৌড়ি হোমের প্রতিবন্ধীদের তৈরি পাটের কাজ মুম্বই মাতাচ্ছে
তাঁর স্বামী কালীচরণ হেমব্রম পরিযায়ী শ্রমমিক। সংসারের ভারবহনের জন্য তিনি ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তাদের নিজস্ব চাষের জমি নেই। পাকা বাড়ি নেই। মাটির যে বাড়িতে পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রূপালি হাঁসদা থাকেন সেটি যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে।
রুপালি হাঁসদার ভাসুর গোড়া থেকে রাজনীতি করেন। সেই সুত্রেই তিনিও প্রত্যক্ষ রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। তবে বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি মানুষকে পরিষেবাও দেন সঠিকভাবে। নিজের সংসার চালাতে ক্ষেতমজুরি করলেও গ্রামের মানুষেরও খেয়াল রাখেন যথাযথভাবে। সব মিলিয়ে গলসির রূপালি বর্তমান বাংলার এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।