বাতাসে ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে বিয়ের মরশুম। একের পর একটা আসতে থাকবে বিয়ের তারিখ। ডাক পড়বে বাউরা গ্রামের মিহির বাবুর পালকির। আধুনিকতার যুগে অধিকাংশ মানুষ দামি গাড়িতে চেপে যান বিয়ে করতে। কিন্তু চারচাকা দামি গাড়ি থাকলেও, পুরানো ঐতিহ্য পালকিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এই গ্রামে। অনেকেই আছেন যাদের নিজেদের বিয়ে নিয়ে একটু অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করে। তাই তারা নিজেদের বিয়েকে আরও বেশি স্মরণীয়করে তুলতে চাইছেন পালকি।
advertisement
আরও পড়ুন: হেঁটে উত্তরপ্রদেশ থেকে পূর্ব বর্ধমান এল ভানু, কি কারণ দেখুন বিস্তারিত
পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত একটি গ্রাম হল বাউরা। এই গ্রামে রয়েছেন মিহির ঘোষ নামের এক পালকির ব্যবসায়ী। আধুনিকতার যুগেও টিকিয়ে রেখেছেন পুরানো ঐতিহ্যকে । এই বিষয়ে তিনি বলেন,২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পালকির চল একেবারেই ছিল না। তখন মানুষ পছন্দ করছিল দামি গাড়ি । কিন্তু ২০১৫ সালের পর ২০১৮ সাল পর্যন্ত পালকি টুকটাক চলছিল। তবে তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাজারে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে পালকির। পালকি নিয়েএখন মানুষের মধ্যে বেশ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে চালিয়ে আসছেন এই পালকির ব্যবসা। তবে এই ব্যবসা এখনও টিকিয়ে রেখেছেন তার কারণ বাবার স্মৃতি ধরে রাখা। লাভের টাকার চেয়ে বাবার নাম লেখা পালকি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে এটাই নাকি তার কাছে বড় পাওনা । বাবার নামেই রয়েছে তার এই পালকি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খারাপ অবস্থা হলেও থেমে থাকেনি,আজ রিক্তার তৈরি নাড়ুর চাহিদা তুঙ্গে
বহু দূর দূরান্ত থেকে পালকি ভাড়ার জন্য ফোন আসে মিহির বাবুর কাছে। বাউরা গ্রামের মিহির বাবুর পালকি পাড়ি দিয়েছে হাওড়া, করিমপুরের মত আরও বহু জায়গায়। তবে যখন সকলে এই ব্যবসা থেকে সরে গিয়েছিলেন, তখন কিন্তু পিছু হটেননি মিহির বাবু। বিয়ের জন্য যখন পালকি পাঠানো হয় তখন, চোখ ধাঁধানো রূপে সাজিয়ে তোলা হয় পালকি। বেহারাদের জন্য থাকে আলাদা পোশাক। পূর্ব বর্ধমানের বাউরা গ্রামের মিহির বাবু বেহারা নিয়ে আসেন মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে । বেহারা সমেত পালকি পাঠিয়ে দেন দূর দূরান্তে। সবমিলিয়ে বর্তমানে বিয়েকে একটা অন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে পালকি । চাইলে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া করতে পারেন
পালকি । সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে হবে , 9735889813 অথবা 7679703996 এই নাম্বারে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী