১৯৪৮ সাল থেকে কালনা শহর লাগোয়া ঝরুবাটি নরেন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১২৫ জন। ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর পর্যন্ত পড়ানো হয় এই বিদ্যালয়ে। ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে তাক করে ইঁটের ও পাথরের টুকরো ছোঁড়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যেশ্যে কুরুচিকর গালিগালাজ করছে পাশের বাড়িতে থাকা এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বারবার ওই বাড়িতে জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও জানায়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় নি। মানসিক ভারসাম্যহীনের ছোঁড়া ইঁটে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আঘাতও হয়েছে বলে দাবি।
advertisement
আর পড়ুন: তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, আটক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গ্রেফতারি কি সময়ের অপেক্ষা?
গালিগালাজের জেরে স্কুলে ক্লাস করানো দায় হয়ে ওঠে শিক্ষকদের। এই নিয়ে বারবার বিষয়টি দেখার জন্য আবেদন করা হয় প্রশাসনকে। তার কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা নিজেরাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ও ছাত্র-ছাত্রীদের বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে কালনা বৈচি সড়ক অবরোধ করে।
আর পড়ুন: সাসপেন্সে ইতি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ইডি
অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়।খবর দেওয়া হয় কালনা থানায়। পুলিশ এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠিয়ে নেন অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, "বাচ্চাদের ডাকাডাকি করে ওই ব্যক্তি। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয় পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকদেরও। মাঠে খেলতে আসলে বাচ্চাদের ঢিল ছুঁড়ে মারে। দীর্ঘদিন ধরে এই একই ঘটনা ঘটছে প্রশাসনকে জানানও হয়েছে। এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আজ অভিভাবকরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।"
ঝড়ুবাটি নরেন্দ্র নাথ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বোর্ডের সদস্য উজ্জ্বল ঘোষ জানান, "স্কুল বন্ধ করতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ও তাঁর মা কে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ততক্ষণ স্কুল বন্ধ থাকবে। আমরা চাই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ও তাঁর মাকে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক।" অন্যদিকে, স্কুলের পড়ুয়ার এক অভিভাবক তাপসী মজুমদার বলেন, তাঁর মেয়ে বাথরুমে গিয়েছিল সেই সময়ে তার উপর ঢিল ছোড়া হয়। এর বিহিত না হওয়া পর্যন্ত স্কুলের দরজা খোলা হবে না।
Malobika Biswas