এই দুটি রথ মূলত রাজা ও রানীর রথ। রাজার রথ অর্থাৎ পিতলের রথ বের করা হয় মন্দিরের বাইরে। আর রানীর রথ বা কাঠের রথটি বের করা হয় না মন্দির থেকে। রথের দিন সকাল সাত টায় এই রথ টানা হয়। সময়ের হেরফের হয় না কখনওই। বাইরে বের করা না হলেও রাজবাড়ির প্রাঙ্গণের মধ্যেই রথ টানতে ভিড় জমান বর্ধমানবাসী। সব নিয়মই রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রীতিনীতি মেনেই হয় এখনও। তবে রাজার রাজত্ব চলে গেলেও ৩৫০ বছরের রাজবংশের রথকে এখনও সচল রেখেছেন রাজবাড়ির কনিষ্ঠ পুত্র ডাঃ প্রণয়চাঁদ মহতাব। বর্তমানে রাজবাড়ির পুজোর সমস্ত খরচ ও দায়িত্ব তিনিই বহন করেন। তবে রাজা তেজচাঁদের রাজত্বকালের জাঁকজমক আজ আর নেই। প্রতিবছরের মতো এবছরও বর্ধমানের সোনাপট্টিতে বর্ধমান রাজাদের তৈরি লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির হবে রথ যাত্রার উৎসব।
advertisement
করোনা অবহের জেরে গত দু বছর জাকজমোক করে রথ যাত্রা না হলেও প্রথা মেনে হয়েছে রথ যাত্রার উৎসব। তবে এবছর ফের রথ যাত্রার উৎসব হবে আগের মতোই। লোক সমাগমও। রথ যাত্রার দিন বসবে মেলাও। তবে প্রথা মেনে রাজবাড়ির অন্দরেই থাকবে দুটি রথ। রথ যাত্রার দিন বের করা হবে দুটি রথ। এরপর ফের উল্টো রথের দিন আবারও বের করা হবে রথ দুটিকে।
রাজবাড়ির প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র বলেন, " রথের দিন সকালে রথ বের করা হয়। সন্ধ্যে বেলা হয় আরতি। এরপর গোপাল ও লক্ষ্মী-নারায়ণকে রাতে রথ থেকে নামিয়ে শোয়ানো হয়। এরপর ফের উল্টো রথের দিন রথে তোলা হয় গোপাল ও লক্ষ্মী-নারায়ণকে। ইতিমধ্যেই রথ পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জোরকদমে চলছে রাজবাড়ির মন্দির চত্বর পরিষ্কারের কাজ।"
Malobika Biswas