ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের সেলিমাবাদ গ্রামের মিরপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ব্লকের বিডিও ও সিডিপিও নড়েচড়ে বসেন। জামালপুর ব্লকে এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটল তার তদন্ত ব্লক প্রশাসন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন Record number of Hilsa: বড়ই সুখবর! এক সপ্তাহে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ দিঘায়
advertisement
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেলিমাবাদ মিরপাড়া এলাকার ৪০৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও গর্ভবতী মিলিয়ে গ্রামের ৫৬ জনকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়েছে এদিন। তারা মূলত জামালপুরের সেলিমাবাদ এলাকার বাসিন্দা। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খিচুড়ি রান্না হয়। বেলা ১০ টার মধ্যে রান্না শেষ হলে শিশু ও গর্ভবতীদের কেউ থালা , কেউ বাটিতে করে সেই খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে চলে যান। ঘরে বসে খিচুড়ি খেতে গিয়ে এক শিশুর অভিভাবকের চোখ কপালে ওঠে!
তাঁরা দেখেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে দেওয়া গরম খিচুড়ির মধ্যে একটি 'মরা সিদ্ধ' হয়ে যাওয়া টিকটিকি । এমনটা দেখেই ওই শিশু ও তার পরিবারের লোকজন আঁতকে ওঠেন ।তাঁরাই ছুটে গিয়ে গ্রামের অন্যান্য শিশুর পরিবার ও গর্ভবতীদের বিষয়টি জানান। ওই খিচুড়ি নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা ও রাধুনীকে দেখানো হয়। ওই খাবার সহ টিকটিকি ফেলে দেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন Bankura News| Dengue: গাপ্পি মাছেই কেল্লাফতে! ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার দারুণ দাওয়াই
এলাকাবাসীকে খিচুড়ি না খাওয়ার জন্য বলেন। ততক্ষণে যে শিশুরা খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছিল তাদের অভিভাবকরা ঘটনার কথা জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ভয়ে আতঙ্কে শিশুরা শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করা শুরু করলে তাঁদের জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা শিশুদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সময় তাদের অবজারভেশনে রাখেন।
জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের অভিভাবক নাসিমা খাতুন ও রীণা খাতুনরা বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে এদিন খিচুড়ি দেওয়া হয়। সেই খিচুড়ি অনেক শিশু খেয়ে ফেলেছিল। তারপরই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ে গিয়েছিল। সেটা খিচুড়ির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বিষয়টি জানার পর তাদের শিশুরা অসুস্থতা অনুভব করে। অনেকে বমি করা শুরু করে।
এ বিষয়ে বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, তিনি এই ঘটনার কথা শুনেছেন । ঘটনার তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব সিডিপিওকে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে এ বিষয়ে। প্রসঙ্গত, মাস দেড়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে বাগকালাপাহাড় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতেও মিলেছিল সাপ। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই জামালপুরের সেলিমাবাদ গ্রামের মীর পাড়ার ৪০৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়িতে মিলল 'টিকটিকি’। ফলে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।
Malobika Biswas