প্রাচীন এই মন্দিরের ইতিহাস প্রসঙ্গে চন্দ্র পরিবারের এক সদস্য অরূপ চন্দ্র বলেন, এই মন্দির আনুমানিক দু’শো কুড়ি-পঁচিশ বছর আগের পুরোনো মন্দির । মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বর্গীয় রামকানাই চন্দ্র , উনি ওঁর স্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের আদি বাসস্থান ছিল গুজরাতে। ব্যবসা সূত্রে এই গ্রামে এসে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ দেখে এখানেই বসবাস শুরু করেন ।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলের ভিতরে কী করেন কুন্তল! এবার সেটাও জানতে চায় CBI, আদালতের বড় নির্দেশে তোলপাড়
আরও পড়ুন: দারুণ দুর্যোগ! উত্তর সিকিমে ভয়াবহ অবস্থা, আটকে বহু পর্যটক, উদ্ধারে তৎপর সেনা
শ্রীবাটি গ্রামের এই মন্দির অনন্য এক শৈল্পিক নিদর্শন। এই মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে তৎকালীন সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ। বিভিন্ন দেবদেবীর পাশাপাশি টেরাকোটা শিল্পের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তৎকালীন ইংরেজ শাসক ও সমাজ ব্যাবস্থার নানান চিত্রকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই মন্দির সরকার অধিগ্রহণ করেছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তা সত্ত্বেও মন্দিরের গা জুড়ে জমে থাকা শ্যাওলা আর গাছের শিকড় প্রমাণ দেয় অযত্নের। পরিবারের সদস্যের দাবি অতিদ্রুত রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হোক। না হলে ক্রমে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে প্রাচীন এই মন্দিরটি। তাঁদের কথায়, দক্ষ কারিগর ও আধুনিক পদ্ধতি ব্যাবহার করে সংস্কার করা হোক মন্দিরগুলির।
এই প্রসঙ্গে অরূপ চন্দ্র আরও জানিয়েছেন, সরকার এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাও সরকার এ টাকে সেভাবে দেখছেন না । আমাদের মন্দির বলে যে সবটা আমরা করব, এমনটা নয়। আমরা চাই সরকার থেকে এই মন্দিরের দিকে নজর দেওয়া হোক, যাতে আরও কিছুদিন এই মন্দির টিকে থাকে ।
কালের নিয়মে বর্তমানে ক্ষয়ে গেছে কিছু জায়গার সূক্ষ টেরাকোটার কাজ, ইটের ফাঁকে বেড়ে উঠছে গাছের শিকড়, জমেছে শ্যাওলাও। তবে দেওয়াল জুড়ে অতীতের সমসাময়িক নানান ঘটনাকে সাক্ষী করে আজও দাড়িয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গ্রাম বাংলার এই তিন মন্দির।