বানী রয় নামের এক মহিলা মুস্থূলী ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাসিন্দাদের বছরের পর বছর দশমীর দিন নীলকন্ঠ সদৃশ মাছরাঙা পাখি দেখিয়ে আসছেন। এই পাখির কপালে সিঁদুর পরিয়ে গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের বধূরা ও বাণীদেবী একে অপরের সিঁথিতে সিন্দুর পরিয়ে দেন । বাণী রায়ের দৌলতে এভাবেই পূণ্যের আশায় দিনটি পালন করেন মহিলারা।
আরও পড়ুন: এ যেন ‘অভিশপ্ত’ গ্রাম! ফাঁকা পড়ে আছে ঘরবাড়ি, কেন কেউ থাকে না এখানে?
advertisement
এই প্রসঙ্গে বাণী রায় জানিয়েছেন,বংশপরম্পরায় আমাদের পরিবারের বধূরা দশমীর দিনে এলাকার গৃহস্থদের এই পাখির দর্শন করিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের মা বাবা সহ সকলের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় এদিন এই পাখি দেখাই।যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে নীলকণ্ঠ পাখির পোষাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। আর বিজ্ঞান সম্মত নাম হল ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। তবে অনেকের কাছে পাখিটির আদরের নাম নীলকন্ঠ।
আরও পড়ুন: মালা গেঁথে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লড়াই দুই বোনের
এই পাখিকে আবার কৃষকবন্ধুও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত বর্ষার শেষে এই পাখি আসো ধানজমির পোকা , কীট পতঙ্গ খেতে। তবে বর্তমানে জমিতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার হওয়ায় সংখ্যায় কমছে এই পাখি । আবার বিশেষজ্ঞদের মতে পুরানো গাছ কাটাও নীলকণ্ঠ পাখির হ্রাসের অন্যতম কারণ। তবে এই পাখিকে ঘিরে রয়েছে বহু কাহিনী এবং নানান ভিন্ন ধরনের মত। অনেকের মতে দুর্গা পুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে এই নীলকন্ঠ পাখির।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী