সেই সময় আউশগ্রাম গ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছিলেন তা একবার শুনে নিন জানিয়েছিলেন, “স্বর গ্রামে মোড়া শিল্পের কথা আগে শুনেছি। তবে শিল্পীরা আমাদের কাছে আগে কোনওদিন আসেন নি। আমাদের কাছে এলে শিল্পী ভাতা বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বিষয়ে সচেষ্ট হব। সরকারি যা যা সুযোগ সুবিধা আছে তা আমি পাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দেব।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ অস্ট্রেলিয়া-ফ্রান্সেও পেয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার বিখ্যাত ‘মোড়া’, জনপ্রিয়তাও রয়েছে প্রচুর
লোকাল 18 বাংলার খবরের জেরে সেইমত নড়েচড়ে বসল ব্লক প্রশাসন । এদিন পূর্ব বর্ধমান এর আউশগ্রামের স্বর গ্রামে খবরের জেরে এবার মোড়া শিল্পীদের দুয়ারে পৌঁছল প্রশাসন। বুধবার মোড়া শিল্পীদের দুয়ারে গিয়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মাধ্যমে উদ্যম রেজিস্ট্রারে নাম তোলা হয় তাদের। যাতে শিল্পীরা সরকারি সুযোগ সুবিধা পান তার জন্যই এমন উদ্যোগ নিল ব্লক প্রশাসন৷
এ নিয়ে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“আমরা এদিন মোড়া শিল্পীদের গ্রামে গিয়েছিলাম৷ সেখানে প্রতিটি শিল্পীদের নাম এমএসএমই দপ্তরের মাধ্যমে উদ্যম পোর্টালে রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছি। যাতে তাঁরা আগামী দিনে সুযোগ সুবিধা পান।”
আরও পড়ুনঃ পূর্ব বর্ধমানে এই গ্রামের বাসিন্দাদের জীবিকা বাঁশের বেত শিল্প
এদিন পূর্ব বর্ধমান এর ব্লক প্রশাসন যাওয়ায় প্রত্যেক শিল্পী তাঁদের হাতের কাজ দেখান৷ তাঁরা তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনান। এই প্রসঙ্গে নাচু বিশ্বাস নামে এক শিল্পী জানান, “আমাদের ভালো লাগছে প্রশাসন নিজে আমাদের বাড়িতে এসেছে। আমরা প্রতিটি শিল্পী নাম তুলেছি ওই পোর্টালে৷ প্রশাসন এভাবে আমাদের পাশে থাকলে আগামী দিনে আমরা এই শিল্পটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”