খাঁড়া হাতে কালীরূপের এই দৃশ্য কিছুটা ভয়াবহও বটে। মূর্তিটি তৈরি হয়েছে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে। যেমন ঔষধের খালি প্যাকেট, জামা কাপড়ের কাগজের বক্স এবং নানা ধরণের বর্জ্য উপকরণে। সাত ফুট উচ্চতার এই কালী মূর্তি তৈরি করতে সময় লেগেছে ২২ দিন। প্রতিদিন রাত ১টা পর্যন্ত নিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তপনবাবু কাজটি শেষ করেছেন। ওষুধের খালি প্যাকেটগুলি প্রায় দু’বছর ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : বাংলায় বসেই দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন! টাকা খরচ করে আর ভিনরাজ্যে ছুটতে হবে না, আসানসোলবাসীর জন্য দারুণ চমক
এই শিল্পকর্মে স্কুলের সহকর্মীরাও তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। প্রদর্শনীর জন্য মূর্তিটি সাজানো হবে গুসকরা শিরীষতলা বয়েজ ক্লাবে, যেখানে দর্শকরা নতুন এই অভিনব কল্পনার সাক্ষী হবেন। শিক্ষক তপন দাস জানিয়েছেন, আশা করি এটা প্রত্যেকের নজর কাড়বে, আর আগামী দিনেও আমি এইধরনের আরও নতুন নতুন জিনিস তৈরির চেষ্টা করব।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিক্ষক তপনবাবুর এই কাজ শুধু কালীপুজোর আনন্দ বাড়ায়নি, পরিবেশ সচেতনতার বার্তাও ছড়িয়েছে, কারণ ফেলে দেওয়া জিনিসকেই শিল্পকর্মে রূপ দিয়েছেন তিনি। এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ জেলায় একেবারেই প্রথম। এলাকার মানুষ এবং পুজোপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই এই জীবন্ত কালী মূর্তির প্রশংসায় মুখর। আশা করা যায় দর্শনার্থীরাও কালী মূর্তির এই দৃশ্য দেখে অনেকটাই আনন্দিত হবেন।