পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে নিজের বাবার উপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। প্রদীপ রায় দীর্ঘদিন ধরেই মদ্যপ অবস্থায় বাবা-মাকে প্রায়শই মারধর করতো বলে অভিযোগ।রবিবার রাতেও প্রদীপ পেরেক যুক্ত একটি বাঁশ দিয়ে বাবার শরীরে এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে বলে অভিযোগ।রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বিপত্তারণ রায়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেই রাত একটা নাগাদ মৃত্যু হয় বিপত্তারণ রায়ের।
advertisement
অভিযুক্ত প্রদীপ রায়-কে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না মৃতের স্ত্রী। তিনি বাড়ি ফিরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শোকস্তব্ধ এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।স্বামী খুনে অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন অভিযুক্ত প্রদীপের মা।
এক প্রতিবেশী জানান,প্রদীপ লরির খালাসির কাজ করত।যখনই বাড়ি আসত মা-বাবাকে মারধর করত। আমাদের অনেকবার জানিয়েছিল, বাড়িতে গিয়ে অনেকবার বুঝিয়ে ছিলাম কিন্তু কোন কথা শুনেনি। কিছুদিন ঠিক থাকত আবার একই কাজ করত। মাস দুয়েক দিয়ে তাকে মাকে প্রচন্ড মেরেছিল। আমরা থানায় ঘটনাটি জানানোর কথাও বলেছিলাম। বাইরে কাজে গিয়েছিল বাড়ি ফিরে এসে আবার বাবাকে মারধর করে তারপরে এই ঘটনা।
মৃতের স্ত্রী জানান, আমি বাড়িতে ছিলাম না, বাড়ি এসে দেখি স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রথম খণ্ডঘোষে নিয়ে গেছিলাম সেখান থেকে বর্ধমান নিয়ে যেতে বলা হয়। বর্ধমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। বাড়ি এলেই প্রায় মদ খেয়ে এসে আমাদের মারধর করত ছেলে।






