জানা গিয়েছে, কাটোয়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘিরপাড় এলাকায় থাকতেন মাম্পি মণ্ডল। তিনি কাটোয়া কলেজের বি এ প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে বড় ছিলেন মাম্পি । তাঁদের মা সন্ধ্যাদেবী গৃহবধু । বাবা সুভাষ মণ্ডল মোটর সাইকেল মেকানিক । মঙ্গলকোট থানার কৈচরে তাঁর একটি ছোটখাটো দোকানও রয়েছে ।
advertisement
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা থেকেই মেয়েকে স্মার্টফোন খুটখাট করতে দেখে বকাঝকা করেছিলেন সন্ধ্যাদেবী । এনিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয় । তারপর তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে মাম্পি দরজা বন্ধ করে একাই ঘরে ছিল। এরপর সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মা সন্ধ্যাদেবী । কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ধরে মেয়ের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ঘরে মেয়েকে দেখতে যান। তখন তিনি মেয়েকে নিজের ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। সন্ধ্যাদেবী চিৎকার করে উঠলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে ।
এরপর মাম্পির দেহ ওড়না কেটে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় । কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । চিকিৎসকরা মাম্পিকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরাও। মাম্পির মা সন্ধ্যা দেবী বলেন, ফোন নিয়ে বসে থাকতে দেখে বলেছিলাম মাত্র। তার জন্য মেয়ে অভিমানে এরকম কাণ্ড ঘটাবে ভাবিনি। যদি না বকতাম তাহলে হয়তো মেয়েটা বেচেঁ থাকতো।
Malobika Biswas






