পাট চাষ করে বার বার ক্ষতি হওয়ার কারণে ফুল চাষের দিকে ঝুঁকেছেন পূর্ব বর্ধমানের ঝাউডাঙার চাষিরা। ঝাউডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হালতাচড়া গ্রামেই মূলত গত কয়েক বছর ধরে পাট চাষের পরিবর্তে শুরু হয়েছে ফুল চাষ। এবছরও বেশ কিছু চাষি পাট চাষ করেছিলেন। কিন্তু ঠিকঠাক বৃষ্টি না হওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তেমনই এই বছর পাটের দামও ঠিকঠাক পাচ্ছেন না চাষিরা। আর সেই কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন এই এলাকার পাট চাষিরা। অধিকাংশ চাষি ঝুঁকেছে ফুল চাষের দিকে। ফুল চাষে লাভ বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: ফুলের দামে ‘আগুন’, বিশ্বকর্মাপুজোয় পকেটে ছ্যাঁকা
এই প্রসঙ্গে এক ফুল চাষি জানান, তাঁরা এর আগে সাধারণত পাট, সর্ষে, তিল, ধান করতেন। কিন্তু এসব চিরাচরিত চাষ করে এখন লাভের বদলে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। তাই ধীরে ধীরে এলাকার চাষিরা ফুল চাষে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। গত দু’বছর ধরে তাঁদের উৎপাদিত ফুল বাইরে যাচ্ছে। এর আগে দিল্লিতে গিয়েছিল ফুল। এবার তাঁদের ফুল গণেশ পুজো উপলক্ষে পাড়ি দিয়েছে মুম্বই।
সাধারণত পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীতেই সবথেকে বেশি পাট চাষ হয়। কিন্তু সোনালী ফসল পাট আর সেভাবে পকেট ভরাচ্ছে না। তাই বিকল্প চাষ হিসেবে ক্রমশল জায়গা করে নিচ্ছে ফুল। জানা গিয়েছে নেপালেও এখানকার চাষিদের উৎপাদিত ফুল পাঠানোর বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।
পাট চাষের থেকে ফুল চাষে পরিশ্রম বেশি। কিন্তু স্বস্তির বিষয় হলএতে মুনাফাটা অনেক বেশি থাকে। এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু বিক্রির সময় পাওয়া যাবে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। ঠিক এই হিসাবটার কথা মাথায় রেখেই বাড়ছে ফুল চাষের প্রবণতা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী