পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরসা হাসপাতালে এমআর-দের অবাধ আনাগোনাকে কেন্দ্র করে এমনই অভিযোগ উঠল। এই প্রসঙ্গে রোগীদের অভিযোগ, প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে দু-একজন চিকিৎসক যেসব সংস্থার ওষুধের নাম লিখছেন তা খেয়ে কাজ হচ্ছে না। এক রোগীর অভিভাবক শেখ গুলজার বলেন, হাসপাতালে এখনও বেশকিছু ভাল চিকিৎসক আছেন। তবে এক-দু'জন চিকিৎসক লোভে পড়ে বাইরের ওষুধ লিখছেন। ইচ্ছামত বাইরে টেস্ট করতে বলছেন। তাঁর দাবি, এর ফলে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করতে আসা গরিব রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি রাস্তা দখল করে বহুতল নির্মাণ! বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কের
এদিকে হাসপাতালে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের এই অবাধ আনাগোনার কথা জানতে পেরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ স্বর্ণাভ হাজরা। তিনি বলেন, এখানে যারা চিকিৎসা করাতে আসেন তাঁদের বাইরে থেকে ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই বলেই এখানে আসেন। সেই তাঁদেরকে যদি বাইরের ওষুধ লেখা হয় তাহলে আমারও ব্যক্তিগতভাবে বিবেকে লাগবে। বর্তমানে ওষুধের সাপ্লাই নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ যথেষ্ট পরিমাণে মজুত আছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
শুক্রবার দুপুরে এক এমআর-কে হাসপাতালের আউটডোরের ভিতর ওষুধ হাতে দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই হাসপাতালের গেটের বাইরে চলে আসেন। বলেন, কিছু কিছু চিকিৎসক দেখা করতে চান তাই আসি। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম প্রবেশ নিষেধ, তাই আর ঢুকিনি।