সরাই টিকোর পঞ্চায়েতের আমার বীরপুর এলাকায় স্কুল পড়ুয়া এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন চলছে বলে চাইল্ড লাইনের ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে কেউ খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান থানার পুলিশকে নিয়ে ওই গ্রামে গিয়ে হাজির হন চাইল্ড লাইনের জেলা আধিকারিকরা। দেখেন জোর কদমে চলছে নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি। পাত্রর বাবাকে চাইল্ড লাইনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, পাত্রীর ১৮ বছর বয়স না হওয়া সত্ত্বেও কেন তার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন? কাঁচুমাচু মুখে পাত্রের বাবা জানান, পাশের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল ছেলে। মেয়েটির বয়স ১৮ বছর হয়নি তিনি জানেন। কিন্তু ছেলে এক্ষুণি বিয়ে করতে চায়। রাজি না হলে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে এবং পালিয়ে বিয়ে করা ঠেকাতে তিনি বাধ্য হয়ে এই বিয়েতে রাজি হন। জানান, নাবালিকা পাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়েতে তাঁর আগেও মত ছিল না এখনও মত নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: চোরের জ্বালায় অতিষ্ট রোগীরা, কোমর বেঁধে ময়দানে নামলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা চাইল্ড লাইন টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মালতি মুর্মু জানান, ওই নাবালিকার বিয়ের খবরটি তাঁদের রাজ্যস্তরে প্রথম পৌঁছয়। সেখান থেকে জেলায় খবর পাঠানো হয়। দ্রুত তাঁরা এলাকায় পৌঁছে ওই নাবালিকার বিয়ে আটকে দেন। এই কাজের জন্য সংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বাল্যবিবাহ রুখতে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে সরকার। তবুও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তবে আমার বীরপুর গ্রামের যে ছবি উঠে এল তা সত্যিই উদ্বেগজনক। নাবালিকা প্রেমিকাকে বিয়ে করার জন্য প্রেমিকের আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনা সংশ্লিষ্ট মহলকে চিন্তায় ফেলবে বৈকি!