রক্তাক্ত গুরুতর জখম ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ভাতারের বড়বেলুন গ্রামের একটি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের পাশ থেকে অভিযুক্ত যুবক স্বামী কে উদ্ধার করে বর্ধমান পাঠানো হয়।
advertisement
জানা গেছে, ছাতনি গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব খাঁ পেশায় রঙের মিস্ত্রি । জয়দেব এবং তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুর এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে । এদিন জয়দেবের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুর ঝগড়া শুরু হয় ।প্রতিবেশীদের দাবি , এদিন জয়দেব ও রিঙ্কুর মধ্যে ঝামেলা হয়। পারিবারিক ঝামেলা বলে প্রতিবেশীরা নাক গলায়নি । হঠাৎ দম্পতির দুই নাবালক সন্তান চিৎকার করে উঠলে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রিঙ্কুদেবী । তাঁর মাথা থেকে রক্তের স্রোত বেরিয়ে আসছে । পাশেই পৃথক সংসারে থাকেন জয়দেবের বাবা বাবলু খাঁ । তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় পুত্রবধুকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে আনেন । কিন্তু তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তৎক্ষণাৎ বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বর্তমানের দুজনেই চিকিৎসাধীন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জয়দেব খাঁ বলেন, ‘আমার স্ত্রী প্রায়ই কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতো । জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিত না । নম্বর মুছে দিত । তাই রাগের বশে আমি এই কাজ করে ফেলেছি । ’






