পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর ‘চুপি পাখিরালয়’ । গ্রাম্য পরিবেশে, জলাশয়ের ধারে, প্রকৃতির মাঝে মন ভাল করা শান্ত পরিবেশ । শীতের মরশুম শুরু হতেই পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। এক ট্যুর গাইড জানান,পরিযায়ী পাখিদের জন্যই এই পাখিরালয় এত জনপ্রিয়। পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গা জুড়ে বিদেশি পাখিরা ভিড় করে। চুপি, কাষ্ঠশালী, রাজার চড় প্রভৃতি এলাকা গুলিতে বিদেশি পাখিদের দেখতে প্রতি বছর শীতের মরশুমে দেশ বিদেশের পর্যটকরা আসেন৷ নামী চিত্রগ্রাহকরাও আসেন বিদেশি পাখির ছবি তুলতে। বিদেশি পাখি দেখানোর জন্য রয়েছে গাইড। ছাড়িগঙ্গায় নৌকায় ঘুরে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখে সুন্দর সময় উপভোগ করতে পারবেন।
advertisement
ছাড়িগঙ্গার পাড়ে প্রচুর রিসর্ট গড়ে উঠেছে পর্যটকদের জন্য। রাজ্য সরকার চুপির পাখিরালয়কে ঘিরে বড় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক চিত্রও অনেক বদলে গিয়েছে। এই জায়গায় যে রিসোর্টগুলি রয়েছে তার ভাড়াও খুবই অল্প এবং কেউ চাইলে পিকনিকও করতে পারেন । ট্যুর গাইড বাবু শেখ আরও জানান, রিসোর্টগুলির ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে । এসি এবং নন এসি সব ধরনের রুম পাওয়া যায় । রয়েছে পিকনিকের ব্যবস্থাও। হাওড়া – কাটোয়া রুটের যে-কোনও ট্রেনে চেপে , পূর্বস্থলী স্টেশনে নেমে টোটো করে পৌঁছে যেতে পারবেন পূর্বস্থলী ‘চুপি পাখিরালয়’। এই জায়গায় থাকা, খাওয়া এবং ঘোরা সবকিছুর জন্যই রয়েছে সুব্যবস্থা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী