জেলার এই পর্যটন কেন্দ্রটির মূল আকর্ষণ পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা। যাকে ঘিরে পর্যটক থেকে শুরু করে চিত্রগ্রাহক, সকলেই ছুটে আসেন এখানে। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চুপি পাখীরালয়। এই পাখীরালয় নিয়ে এবার উদ্যোগী হল প্রশাসন। কেবল মাত্র শীতকালে নয়। সারা বছর পর্যটক টানার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের মতো সফল হোক ভাইয়ের জীবন! ভাইফোঁটাতে পাতে স্পেশাল চন্দ্রযান মিষ্টি
advertisement
সেই মত এই দিন চুপি পাখীরালয় পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুনীল কুমার মন্ডল। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তারা এই ট্যুরিজমকে বৃহৎ আকার দিতে চাইছেন। পাশাপশি তিনি আরও বলেন, যাতে সাধারণ মানুষ বা পর্যটকরা এখানে এসে সমস্ত রকম সুবিধা পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এই জায়গাটা যাতে একটা পার্মানেন্ট ট্যুরিজম হয় তার একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে দেখা যায় পূর্বস্থলীর ছাড়িগঙ্গা কচুরীপানাতে ভরে গিয়েছে। নিজেদের উদ্যোগে সেই পানা সরিয়ে রাস্তা তৈরি করতে হচ্ছিল নৌকার মাঝিদেরকেই। এদিন জেলা শাসক মাঝিদের এই সমস্যার উপরেও দৃষ্টিপাত করেন। সেই সঙ্গে পূর্বস্থলী থেকে চুপি যাওয়ার রাস্তাটি মেরামত করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি, সাংসদ সুনীল কুমার মন্ডল ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন পূর্বস্থলী ২ ব্লকের বিডিও পৌষালী চক্রবর্তী , মহকুমা শাসক শুভম আগারওয়াল, পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা তরফদার ও অন্যান্যরা।
পূর্বস্থলীর চুপি পাখীরালয়ে মূলত শীতকালে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। বছরের অন্যান্য সময় চোখে পড়ে না পর্যটকদের সেই ভিড়। গ্রাম্য পরিবেশে, জলাশয় এর ধারে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে তাই নতুন ভাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। প্রশাসনের এই উদ্যোগ পাখীরালয়ের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় মানুষদের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করবে বলেও মনে করছেন অনেকে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





