আরও পড়ুন: ছোট্ট দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে সাড়া ফেলে দিল নবম শ্রেণির দীপঙ্কর
মঙ্গলকোটের এই বনেদি বাড়ির পুজোয় পরিবার সহ গ্রামের সকলেই আনন্দে মেতে ওঠেন। পরিবারের বহু সদস্য কর্মসূত্রে বিদেশে থাকলেও পুজোর কটা দিন সকলে মিলিত হন এক জায়গায়। পরিবারের সদস্য স্বরূপ কোঁয়ার বলেন, আমাদের পুজোর আরও একটি বিশেষ ঐতিহ্য হচ্ছে, পরিবারের সদস্যরা সারা বছর যে যেখানেই থাকুক পূজোর অন্তত একটা দিন হলেও আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করি।
advertisement
বনেদি বাড়ির পুজো মানেই কোথাও নাট মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আবার কোথাও গোটা মন্দিরজুড়ে ঝলমলে ঝাড়বাতির আলো। এখানেও তার অন্যথা হয় না। পুজোর আগেই শুরু হয়ে যায় ঠাকুর দালান রং করা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা পুজোর চারদিন মিলিত হন একসঙ্গে। শুরু হয়ে যায় হইচই, খাওয়াদাওয়া। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক সাবেক জমিদারি আমলের পুজো। এখনও পুজোর নিয়মে বজায় আছে সাবেকিয়ানা।
কথিত আছে প্রায় ৩০০ বছর আগে গ্রামেরই এক ব্রাহ্মণ প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। গোটা গ্রামে তখন ওই একটিই পুজো হতো। একবার হঠাৎই কোনও অজ্ঞাত কারনে ব্রাহ্মণ জানান তিনি আর পুজো আর করতে পারবেন না। এরপর গ্রামের জমিদার কাঙালকৃষ্ণ কোঁয়ার ওই পুজোর দ্বায়িত্ব নেন। সেই থেকে পুজো হয়ে আসছে। জমিদারি চলে গেলেও আজও কোঁয়ার পরিবারের অধীনে ৫ টি বড় বড় পুকুর আছে। সেই পুকুরের আয় থেকে দুর্গাপুজো হয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী