তবে একই পরিবারে একসঙ্গে সাত প্রতিমার পুজো কেন হয় ? এর পিছনে একটা কারণ রয়েছে। এই কারণ প্রসঙ্গে ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্য সজল ভট্টাচার্যের কাছে জানা গিয়েছে,রামগোপাল ভট্টাচার্য প্রথম এই দুর্গাপুজো খাটুন্দি গ্রামে শুরু করেন । সজল ভট্টাচার্যের কথায়, রামগোপাল ভট্টাচার্য আগে বর্তমান কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত কুলাই গ্রামে বসবাস করতেন। অভিযোগ, পরবর্তীতে কুলাই গ্রামের জমিদারদের অত্যাচারে , রাতের অন্ধকারে এসে খাটুন্দি গ্রামে কৃষ্ণরায় এবং দুর্গা একসঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
advertisement
যে সময় তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তখন নাকি এই জায়গা ছিল শ্মশান। পরে রামগোপাল ভট্টাচার্যের অবর্তমানে ওঁর বংশধররা পুজো শুরু করেন । ধীরে ধীরে পারিবারিক মনমালিন্যের জেরে সকল বংশধর অর্থাৎ ভায়েরা ঠিক করেন ওঁরাও দুর্গা প্রতিমা আনবেন । বাড়তে থাকে দুর্গা প্রতিমার সংখ্যা। এইভাবে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ বছর ধরে এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি দুর্গা পুজো হয়ে আসছে এক উঠোনের মধ্যেই। তবে এই পুজোর বিশেষ কিছু নিয়মও রয়েছে।
আজও এই ভট্টাচার্য বাড়িতে পুজোর সময় আগে কৃষ্ণরায়কে ভোগ দেওয়া তারপর ভোগ দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে। পুজো হয় আগে কৃষ্ণরায়ের তারপর দেবী দুর্গার। এবছরও দুর্গাপুজোর আগে সাতটি মন্দিরেই চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ । শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল তৈরির প্রস্তুতি। মহালয়ার পর থেকেই পরিবারের প্রত্যেকে আস্তে আস্তে এই জায়গায় উপস্থিত হবেন। পুজোর চারদিন জমে উঠবে পূর্ব বর্ধমানের খাটুন্ডির এক উঠোনে সাত দুর্গার পুজো।