বছর কুড়ির মুসকান মেমারি কলেজে পড়ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরে। এরপর পুকুরে স্নান করতে যায়। ডুবে যাওয়ার সময় মুসকানের চিৎকার ও হাত নাড়া দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি মুসকানের হাত টেনে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুকুরের গভীরতা বেশি থাকায় এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জলে ডুবে যায় ওই কলের ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি ছুটে গিয়ে এলাকার আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন। খবর দেওয়া হয় জেলেদের। কিছুক্ষণ তল্লাশির পর ওই ছাত্রের দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে রায়নার মহেশবাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় মুসকানের।
advertisement
আরও পড়ুন: বালির বদলে মাটির বস্তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাঁধ! সেচ দফতরের কাজ দেখে চক্ষু চড়কগাছ শান্তিপুরের
পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও ভালো ছিল মুসকান আলি। ব্যাডমিন্টনে সে অনেক পুরস্কারও পেয়েছে। ফলে সকলের প্রিয় ছিল এই বছর কুড়ির কলেজ ছাত্র। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল মুসকান। তার এই মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে ভেঙে পড়েছে সকলে।