নদিয়া: গঙ্গার ভাঙ্গন সমস্যায় জেরবার শান্তিপুরের মানুষকে সুরাহার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। প্রতিশ্রুতি মত গত কয়েক মাস ধরে চলছে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ। সেচ দফতর বাঁধিয়ে দিচ্ছে গঙ্গার পাড়। কিন্তু সেই কাজে ব্যবহৃত উপাদান দেখে মাথায় হাত শান্তিপুরবাসীর। তাঁরা ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিলেন। অভিযোগ, বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গার পাড় বাঁধানোর কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে বস্তা ভর্তি পলিমাটি!
নদী ভাঙন সমস্যা মেটাতে গিয়ে বালির বদলে পলিমাটি ব্যবহারের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমার ঘাট এলাকায়। গত কয়েক বছর ধরেই নদী ভাঙনের সমস্যা রাতের ঘুম কেড়েছিল স্টিমার ঘাট এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর প্রচেষ্টাতেই এই ভাঙন সমস্যা দূর করার কাজ শুরু করে সেচ দফতর। কিন্তু যেখানে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হওয়ান কথা সেখানে মাটির বস্তা ফেলে কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: ওসির ছাদ বাগানে সেজে নজর কাড়ছে সবং থানা
এলাকাবাসীদের দাবি, পলিমাটি দিয়ে তৈরি হওয়া এই বাঁধ একটা বর্ষার মধ্যেই ভেঙে পড়বে। সামনেই বর্ষাকাল। সেই সময় বৃষ্টির জল এবং নদীর জলে ধুয়ে যাবে বাঁধের মাটি। ফলে দু'দিন পরেই আবার এলাকায় দেখা দেবে ভাঙন সমস্যা। এবার হয়ত তাঁদের ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে যাবে বলে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে ফের বিধায়কের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, নিয়ম মেনেই বাঁধ নির্মাণের কাজ হচ্ছে। প্রথমে মাটির বস্তা ফেলা হবে। এর পরের ধাপে তার উপর বালির বস্তা ফেলে কাজ শেষ হবে।
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ganga erosion, Nadia news, Santipur