গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যকে বাংলা প্রকাশনার পথিকৃত হিসেবে মনে করা যায়। তাঁর হাত ধরেই বাংলা সংবাদপত্রের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তিনি ছিল একদিকে বাঙালি বই ব্যবসায়ী এবং অপরদিকে সাংবাদিক। বাঙালীকে স্বাধীনভাবে বইয়ের ব্যবসা ও বই প্রকাশনার রাস্তা দেখিয়েছিলেন এই গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য। ১৭৮২ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া-১ ব্লকের বহড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে নানান ক্ষেত্রে প্রকাশ পেতে থাকে তাঁর প্রতিভা।
advertisement
আরও পড়ুন: নেশা মুক্ত বারুইপুর গড়তে বদ্ধপরিকর এসপি
কিন্তু আক্ষেপের বিষয় বিখ্যাত এই ব্যাক্তিত্বের জন্মস্থান দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল অবহেলাতেই। বছরখানেক আগে এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন স্থানীয়রা। অবশেষে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চ্যাটার্জির উদ্যোগে নতুন রূপে সেজে উঠতে চলছে বাংলা সংবাদ জগতের এই মহীরূহের জন্মস্থান। এই প্রসঙ্গে গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য স্মৃতিরক্ষা কমিটির এক সদস্য বলেন, আগে কিছুই ছিল না এখানে। এখানে যে পুনর্মিলন উৎসব হয় সেখানে সকল সাংবাদিক এবং স্মৃতিরক্ষা কমিটির লোকেরা মিলে বিধায়ক, বিডিওর কাছে আবেদন করেছিলাম যে এখানে গবেষণাগার হোক। আগে কিছুই ছিল না, তবে এখন নতুন রূপে তৈরি হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা সকলেই খুব আনন্দিত।
আরও জানা গিয়েছে, এই জায়গায় তৈরি হবে গবেষণাগার, ছোটদের জন্য পার্ক। নতুন রূপে সেজে উঠবে বাংলা সংবাদপত্রের অন্যতম পথিকৃৎ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের স্মৃতিবিজরিত এই এলাকা। পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তপন চ্যাটার্জি তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে এই কাজের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী