কিন্তু এবছর ২৫ জুন সরকারি নির্দেশে জেলার সমস্ত বালিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের জেলাজুড়ে একাধিক অভিযানে বালি মজুদের পরিমাণ ও স্থান নিয়ে বিস্তর ফারাক সামনে আসে। আর এরপরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সরকারিভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয় অবৈধ মজুদ বালি। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মরশুমে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জেলার ৭০টির মতো ঘটনায় এফআইআরও করা হয়েছে।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি- এক ও দুই আউশগ্রাম এক ও দুই, বর্ধমান-এক ও দুই, রায়না-এক ও দুই, খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম-এক এবং কাটোয়া-এক নং ব্লকের মোট ৭৩টি স্টক পয়েন্টে বাজেয়াপ্ত করা বালি মজুদ রয়েছে। আর এই ৭৩ টি স্টক পয়েন্টে মোট চার কোটি ২৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৬২৭ ঘনফুট বালি রয়েছে। এই পরিমাণ বালির সবটাই ই-অকশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জন্য মোট সংরক্ষিত মূল্য রাখা হয়েছে ৩০ কোটি ৭৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৪৪ টাকা। জেলা প্রশাসনের অনুমান, ই-অকশন করে সংরক্ষিত মূল্যের অনেক বেশি আয় করা সম্ভব হবে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) ইউনিস রিসিন ইসমাইল বলেন, সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে অনেকেই বালি মজুদ করেছে। সেই সমস্ত লিজ হোল্ডার ও অবৈধ মজুদকারির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই অবৈধ বালির নিলাম করে ভাল আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবছর। সাধারণত বর্ষাকালীন সময়ে বেআইনিভাবে মজুদ করা বালি বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসন। আবার অনুমতির অতিরিক্ত বালিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার সেই বাজেয়াপ্ত করা বালির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে নিলামের জন্য নথি জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ২২ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই বালির ই-অকশন বা নিলাম হবে জেলার সদর দফতর থেকে বলে জানা গিয়েছে।
Malobika Biswas