এমনকী ছেলে হলে ৫০০ টাকা আর মেয়ে হলে ৩০০ টাকা দিতে হবে বলে ফরমান জারি করেছে ওয়ার্ড গার্লদের একাংশ । ফলে টাকার অভাবে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে এসে দুঃস্থ রোগীদের কার্যত গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। অভিযোগ কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোর বিভাগের উপরে চারতলা থেকে তিনতলার প্রসূতি বিভাগে চলে এই টাকার খেলা। কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েনি, তাই কিছু করা সম্ভব নয় বলেই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
advertisement
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে ওঝার দ্বারস্থ, কুসংস্কারের বলি অষ্টমের ছাত্রী!
রোগীর পরিজনদের একাংশ জানান, সবার কাছেই এই টাকা চাওয়া হচ্ছে। এটাই নাকি নিয়ম । কিন্তু গরীব মানুষ, বিনা পয়সায় চিকিৎসা পেতে এখানে আসেন। তাঁরা কোথায় পাবে টাকা । অনেকে আবার বলছেন, সিজার হলে এক রকম টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, আর নরমালে বাচ্চা হলে অন্য রকম টাকা দাবি করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গরীব মানুষরা কি করে দেবে তাঁদের চাহিদা মতো টাকা।
আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল লরি, হঠাৎ এ কী হল! আসানসোলে মুহূর্তে ছড়াল আতঙ্ক
কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সহকারী সুপার সুব্রত সামন্ত বলেন, এই ধরনের কোনো অভিযোগ তাঁদের কাছে আসেনি । তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। যদি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকে বলে প্রমাণ হয় তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । সরকারি হাসপাতালে কেউ এভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করতে পারেন না ।
মালবিকা বিশ্বাস