বর্ধমানের সদর ঘাট পেরিয়ে পিলেমপুর থেকে সোজা চলে গেলেই কামালপুর। কমলাপুরে প্রবেশ করলেই যাকেই জিজ্ঞাসা করবেন ভূত বাংলো কোথায় ? জানতে চাইবেন বাংলোর সম্পর্কে। যে ধরনের কথা গুলি স্থানীয়রা শোনাবে, ভূত বাংলো...... সন্ধের পর ওদিকে আর যাওয়া যায় না। আপনারও যাবেন না। তাবিচ কবোচ আছে , না থাকলে ওদিকে একদম পা বাড়াবেন না। সাবধান....... ঠিক এই ধরনের নানা বিধ কথা শুনতে শুনতে আপনি পৌঁছে যাবেন ভূত বাংলো নামে পরিচিত সেই পুরোনো বাড়িতে। বাড়িটিকে বাইরে থেকে দেখে মনে হবে ধুস এখানে আবার ভূত থাকে নাকি, এটা তো একটা সাধারণ বাড়ি। তবে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে সোজা এগিয়ে গেলেই দালানটা পেরিয়ে ভিতরে গেলেই চোখে পড়বে একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ি। যদিও তার ঠিক পাশেই রয়েছে একটি নতুন বিল্ডিং। তবে সেখানে কেউ তেমন থাকে না বলেই জানান স্থানীয়রা। এই ভূত বাংলোর ভিতরে জমেছে আগাছা, জঙ্গলে ভরে গিয়েছে গোটা বাড়ি।
advertisement
শোনা যায়, ইংরেজ শাসনের শুরুতে এলাকার দেওয়ান নিযুক্ত হন এই বাড়ির সদস্য দেবনারায়ন বসু। সেই সূত্র ধরেই গড়ে উঠে বিশাল অট্টালিকা। জানা যায় এখানে ছিল জমিদার বাড়ির নাচঘর। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেই সময়কার স্বনামধন্য নর্তকীরা আসতেন এখানে। সন্ধ্যার পর জমে উঠতো এই নাচ ঘর। তবে এখন সন্ধির পর শুধুই নেমে আসে আঁধার। এই বাড়ির আশেপাশে বসবাস করেন অনেকেই। তবে অদ্ভুতভাবে সারাদিন তাদের দেখা মিললেও সন্ধ্যের পর এই বাড়ির সামনে আর কেউ আসেন না। স্থানীয়দের একাংশ যেমন দাবি করছেন এখানে ভূত রয়েছে, তেমনি স্থানীয়দের আর একাংশের দাবি , যেহেতু এখানে দুর্গা মন্দির রয়েছে ফলে দেবী দুর্গা নাকি সন্ধ্যের পর আলতা পায় হেঁটে বেড়ান এই বাড়িতে।
আরও পড়ুন: অবাক দর্শন বাছুরের জন্ম! ছয়টি পা! গো-মাতার আর্শীবাদ নিতে ভিড় মানুষের
যদিও এইসব দাবিকে মান্যতা দিতে নারাজ বিজ্ঞান মঞ্চ। বিজ্ঞান মঞ্চের এক সদস্যের মতে, যেখানেই এভাবে অন্ধকার আগাছায় ভরে থাকে, সেখানেই নাকি ভূত থাকে এমনটাই মনে করেন অনেকেই। তবে তা ঠিক নয়। যেহেতু এই বাড়িতে তেমন কেউ বসবাস করেন না অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে আগাছায় ভরে গিয়েছে , তাই লোক মুখে প্রচলিত হয়ে গেছে এটা নাকি ভূত বাংলো। তবে এসব একেবারেই গুজব।
Malobika Biswas