এই প্রসঙ্গে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ নামে এক পাট চাষি জানান ,আষাঢ় মাসে পাট কাটা হয় । এর পর পাট জলে পচিয়ে পাট ছাড়ানো হয়। গ্রামে গ্রামে পাইকাররা আসে এবং পাট কিনে নিয়ে যায়। বছরে একবারই এই পাট চাষ করা হয়। ১ কুইন্টাল পাট বিক্রি করে দাম পাওয়া যায় চার হজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা l ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করলে সেখান থেকে ৭ থেকে ৮ কুইন্টাল পাট হয় ।
advertisement
এখানে ধান, পাট ছাড়াওনানান রকম চাষ হলেও বেশিরভাগ মানুষ পাটের উপরেই নির্ভরশীল। পাট টাই মূল আকর্ষণ।তবে পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকে এবছর পাট চাষের অবস্থা ভাল নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত এক পাট চাষিজাকীর হোসেন মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন তাদের চাষ করতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে কারণ খরচ হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ টাকা ।
আরও পড়ুন:
আমরা পাটের উপরেই নির্ভরশীল কিন্তু এবছর আমাদের কোনওলাভ হয়নি। এবছর খরচ অনেক বেশি। ১ বিঘা জমিতে পাট কাটতে গিয়ে ৪ হাজার টাকা বিঘা পড়ছে । পাট নিয়ে যেতে ৪ হাজার মোট ৮ হাজার । পাট ছাড়াতে লাগছে আরও ৪ হাজার টাকা । পাট শুকোতে লাগে প্রায় ১৫০০ টাকা মত। চাষ করতেই আমাদের সব টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে । তারপর বীজ কেনা , জমি নীড়ান, এই খরচ গুলো বাদ ।
তবে চাষিদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে যে পাট পচাতে গিয়ে জলের কারণে অনেক সময় তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ পাট পচানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জল চাষিরা পাচ্ছেন বলে জনিয়েছেন। এমত অবস্থায় চাষিরা সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
Bonoarilal Chowdhury