এই প্রসঙ্গে মহ: আসমার হোসেন নামে এক চাষি বলেন , “আমাদের যে কি ক্ষতি হয়েছে তা নিজের চোখে না দেখলে আপনারা বিশ্বাস করবেন না । বিভিন্ন ব্যাংক এবং সংস্থা থেকে আমরা লোন নিয়ে এই চাষ করেছিলাম , কিন্তু এই ঝড় বৃষ্টির কারণে সব শেষ হয়ে গেছে।”
পূর্ব বর্ধমান জেলা উপ কৃষি আধিকারিক আশীষ কুমার বারুই জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৫৭ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ৪৩ শতাংশ জমির ধান এখনো জমিতেই রয়ে গেছে । ঝড় বৃষ্টির কারণে যে সকল জায়গায় বেশি ক্ষতি হয়েছে তার ডিটেল রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত কিছু আসেনি । তবে জানা গেছে,গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ নম্বর ব্লক, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক ,মন্তেশ্বর ২ নম্বর ব্লক, মঙ্গলকোট ১ নম্বর ব্লক, কাটোয়া ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ,কেতুগ্রাম ১ এবং ২ নম্বর ব্লক, কালনা ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ব্লকের বেশকিছু মৌজার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । মূলত ঝড় জলের কারণে এখনও সব মাঠে ধান কাটা শেষ হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: রেল স্টেশনে হঠাৎ অজ্ঞান মহিলা! তারপর যা হল! অবাক হবেন
গলসির এক চাষি বলেন , “আমরা ক্ষুদ্র চাষী, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভাগে জমি চাষ করছি। কিন্তু এই ঝড় জলের কারণে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মহাজনদেরকেও কিছু টাকা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের যা ক্ষতি হলো সরকার থেকে যদি আমাদের সাহায্য না করা হয় আমরা খেতেও পাবোনা । আমরা চাইছি সরকার থেকে আমাদের যেন সাহায্য করা করা হোক।”
আরও পড়ুন:
চাষিরা আরও জানায় আচমকা শিলাবৃষ্টির ফলে গলসির হরিপুর, রামপুর ও ইরকোনা মৌজার অধিকাংশ চাষি সর্বশান্ত হয়ে গেছে। মাঠেই ঝড়ে গেছে গাছপাকা সোনার ফসল। তাছাড়াও জমিতে এখনও দাড়িয়ে রয়েছে জল। একদিকে ব্যাংক ও মহাজনের ঋণ ওন্যদিকে বাড়িতে খাবারের চিন্তা। কি করবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না এলাকার চাষিরা। এমত অবস্থায় ব্যাংকের ঋণ মকুপ ও সরকারি সাহায্যের আবেদন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
Bonoarilal Chowdhury