TRENDING:

Bardhaman News | Farmer : শিলাবৃষ্টিতে মাঠেই ঝরে গেছে পাকা ধান! এদিকে লোনের বোঝা! মাথায় হাত চাষিদের!

Last Updated:

Bardhaman News | Farmer : বৃষ্টিতে স্বস্তি এলেও ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গেছে ধান চাষের! হা-হা-কার জেলা জুড়ে!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: কিছুদিন আগে পর্যন্তও ধান গাছ ছিল, আর তাতে ধানও হয়েছিল বেশ ভাল মানের । গত কয়েকবছর ক্ষতির পর এবারের বোরো ধান চাষে ধানের ফলন দেখে মুখে হাসি ফুটেছিল বিভিন্ন মাঠের চাষিদের। সেইমত সোনার ফসল তুলতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় সেই ধান কাটা শুরুও হয়েছিল। তবে সেই হাসির আর শেষ রক্ষা হল না। কিছুদিন আগে আচমকা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মাঠের জমিতেই ঝড়ে গেছে পাকা ফসল ধান। মাঠ জুড়ে এখন শুধু হা হা কার। ধান জমিতে দাড়িয়ে আছে শুধু ফসলবিহীন গাছ। যা দেখে হতাশ পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু ব্লকের চাষিরা। বর্তমানে এই ফসল কাটলে তাতে যা ধান বের হবে সেইদিয়ে ধান কাটার যা খরচ সেই টাকাও পাওয়া যাবে না এমনই দাবী চাষিদের।
advertisement

এই প্রসঙ্গে মহ: আসমার হোসেন নামে এক চাষি বলেন , “আমাদের যে কি ক্ষতি হয়েছে তা নিজের চোখে না দেখলে আপনারা বিশ্বাস করবেন না । বিভিন্ন ব্যাংক এবং সংস্থা থেকে আমরা লোন নিয়ে এই চাষ করেছিলাম , কিন্তু এই ঝড় বৃষ্টির কারণে সব শেষ হয়ে গেছে।”

পূর্ব বর্ধমান জেলা উপ কৃষি আধিকারিক আশীষ কুমার বারুই জানান, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৫৭ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ৪৩ শতাংশ জমির ধান এখনো জমিতেই রয়ে গেছে । ঝড় বৃষ্টির কারণে যে সকল জায়গায় বেশি ক্ষতি হয়েছে তার ডিটেল রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত কিছু আসেনি । তবে জানা গেছে,গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ নম্বর ব্লক, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লক ,মন্তেশ্বর ২ নম্বর ব্লক, মঙ্গলকোট ১ নম্বর ব্লক, কাটোয়া ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ,কেতুগ্রাম ১ এবং ২ নম্বর ব্লক, কালনা ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ব্লকের বেশকিছু মৌজার ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । মূলত ঝড় জলের কারণে এখনও সব মাঠে ধান কাটা শেষ হয়নি।

advertisement

আরও পড়ুন: রেল স্টেশনে হঠাৎ অজ্ঞান মহিলা! তারপর যা হল! অবাক হবেন

View More

গলসির এক চাষি বলেন , “আমরা ক্ষুদ্র চাষী, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ভাগে জমি চাষ করছি। কিন্তু এই ঝড় জলের কারণে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মহাজনদেরকেও কিছু টাকা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের যা ক্ষতি হলো সরকার থেকে যদি আমাদের সাহায্য না করা হয় আমরা খেতেও পাবোনা । আমরা চাইছি সরকার থেকে আমাদের যেন সাহায্য করা করা হোক।”

advertisement

আরও পড়ুন:

চাষিরা আরও জানায় আচমকা শিলাবৃষ্টির ফলে গলসির হরিপুর, রামপুর ও ইরকোনা মৌজার অধিকাংশ চাষি সর্বশান্ত হয়ে গেছে। মাঠেই ঝড়ে গেছে গাছপাকা সোনার ফসল। তাছাড়াও জমিতে এখনও দাড়িয়ে রয়েছে জল। একদিকে ব্যাংক ও মহাজনের ঋণ ওন্যদিকে বাড়িতে খাবারের চিন্তা। কি করবেন ভেবে কুল পাচ্ছেন না এলাকার চাষিরা। এমত অবস্থায় ব্যাংকের ঋণ মকুপ ও সরকারি সাহায্যের আবেদন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

Bonoarilal Chowdhury

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Bardhaman News | Farmer : শিলাবৃষ্টিতে মাঠেই ঝরে গেছে পাকা ধান! এদিকে লোনের বোঝা! মাথায় হাত চাষিদের!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল