তবে এই ঝাঁটা তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে নারকেল কাঠির প্রয়োজন । এবং যে কাঠি আসে কাকদ্বীপ, হুগলি, নদিয়া, মায়াপুর, আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে। প্রথমদিকে এক কেজি নারকেল কাঠির দাম ছিল তিন টাকা । কিন্তু বর্তমান সময়ে এক কেজি নারকেল কাঠির দাম তিন টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা । স্বভাবতই আগের তুলনায় এখন দামও বেড়েছে ঝাঁটার। ঝাঁটার ও বিভিন্ন ধরনের কোয়ালিটি রয়েছে এবং যার উপর ভিত্তি করে ঝাঁটার দাম নির্ভর করে।
advertisement
আরও পড়ুন: গজাবে নতুন চুল! ঝরবে না একটিও! রসুন দিয়ে বানাতে হবে এই তেল! জানুন পদ্ধতি! কয়েক দিনেই নতুন চুল
এই প্রসঙ্গে শেখ আব্দুর সামাদ জানান, “তিনটে কোয়ালিটি করি। আমার ব্রান্ডেড মাল, বিক্রি হয় ভাল। তিনটে সাইজ তৈরি করা হয় ছোট, মাঝারি, বড় । বড়র ভেতরেও আবার দুটো কোয়ালিটি রয়েছে। একটা ৬০০ ওজনের একটা ৫০০ ওজনের। আমাদের ব্র্যান্ডেড মাল, বাজারে আমাদের নাম আছে। আমাদের ঝাঁটার দাম এখনও আমরা কম রেখেছি। আমাদের বিক্রি হয় ভাল। আমরা সেলের ওপর লাভ করি।
আরও পড়ুন: গান্ধিজির আগে কার ছবি ছিল ভারতীয় টাকা বা নোটে? বেশিরভাগ মানুষ ভুল উত্তর জানেন!
জানা গেছে প্রথমে নারকেল কাঠি আসার পর কাঠি গুলোকে ছোট, মাঝারি,বড় সাইজ অনুযায়ী সাজিয়ে নেওয়া হয় । এবং বিভিন্ন সাইজের ঝাঁটার দাম থাকে এক একরকম। আরও জানা গেছে সারাদিন যদি তিন জন কাজ করে তাহলে একদিনে প্রায় ৬০০ পিস ঝাঁটা বানানো সম্ভব। আর দীর্ঘদিন ধরে এই ঝাঁটার ব্যবসা করেই দিন কাটছে আব্দুর সামাদ এবং তার পরিবারের। তবে আব্দুর সামাদের ছেলে শেখ সাগর জানিয়েছেন, যে তিনি এই ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান । কিন্তু তার জন্য অর্থের প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত আর্থিক সাহায্যের জন্য চেষ্টা করলেও তিনি কোনও সাহায্য পাননি।
এই প্রসঙ্গে শেখ সাগর জানিয়েছন, সরকার সাহায্য করলে উপকার তো হবেই। ভালই উপকার হবে। আমাদের ব্যবসাটা আরও বাড়বে। অ্যাপ্লাই দুবার করা হয়েছিল, কিন্তু কোন রেসপন্স পাইনি। বর্তমানে এই ঝাঁটা আমাদের জেলা ছাড়িয়ে পৌঁছে যাচ্ছে অন্য জেলাতেও। একরকম মঙ্গলকোটের আব্দুর সামাদের ঝাঁটা এখন ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। কেউ চাইলে এখান থেকে ঝাঁটা নিয়ে ব্যবসাও করতে পারেন । সেক্ষেত্রে যোগাযোগ করতে হবে – ৯১৫৩৫১৩৫১১ এই নাম্বারে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী