মৃতদের নাম দীপক পাল(৫৮), আপাল লোহার (৪১) ও শেখ মনসুর আলি (৩২) । বজ্রপাতে মৃত দীপক পালের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার কুয়ারা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কাটোয়া থানার কোয়ারা গ্রামের বাসিন্দা দীপক পাল এদিন সকাল থেকেই মাঠে বোরো ধান কাটার কাজ করছিলেন। দুপুরে প্রাকৃতিক দূর্যোগ শুরু হলে তিনি বাড়ি ফিরে আসছিলেন । সেই সময় বজ্রপাতে মাঠেতেই মৃত্যু হয় দীপকের। খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে আনে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝাঁটা না থাকলে জুটবে না দু'বেলার ভাত! গল্প হলেও সত্যি এই গ্রামের জীবন!
দ্বিতীয়জন মঙ্গলকোটের জহরপুর গ্রামের বাসিন্দা আপাল লোহার। মঙ্গলকোটের জহরপুর গ্রামের বাসিন্দা আপাল লোহার এদিন দুপুরে বাড়ির কিছুটা পাশেই একটি পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন । স্নান সেরে বাড়ি ফেরার পথে তিনি ঝড়জলের কবলে পড়েন। তখনই বজ্রপাতে তাঁর প্রাণ যায় । এদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত তৃতীয়জনের বাড়ি ভাতার থানার বেলেন্ডা গ্রামে। মাঠ থেকে গরুর গাড়িতে ধান বোঝাই করে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হল ভাতার থানার বেলেন্ডা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মনসুর আলি নামে এক যুবকের ।
আরও পড়ুন: মাঠে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাত! দৌড়ে গাছ তলায় আশ্রয়! শেষ রক্ষা হল না! হাবরায় মৃত দুই
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলেন্ডা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আসগর আলির ছোট ছেলে মনসুর । এদিন ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গরুর গাড়িতে করে মাঠ থেকে বোরো ধান বোঝাই করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি । গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাবা শেখ আসগর আলি। গরুর গাড়ির পিছু পিছু পায়ে হেঁটে আসছিলেন মনসুর। সেই সময় আকাশ কালো করে মেঘ জমে । মুশলধার বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। আর তখনই কার্যত বাবার সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ছেলের । এদিকে বজ্রপাতে পরপর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকা জুড়ে ।
Bonoarilal Chowdhury