আরও পড়ুন:
এই মন্দির প্রসঙ্গে মন্দির কমিটির সদস্য স্নেহাশীষ চৌধুরী জানান, “এই পুজটি ছিল জমিদারদের। পূর্বের জমিদার জানকিনাথ চৌধুরী সব জায়গা গুলো দান করে গিয়েছিলেন। তাদের বংশ পরম্পরায় আমরাই এখানে রয়েছি।এই পুজো চালানোর জন্য কিছু জমিজায়গা ছিল এবং গ্রামে একটি ট্রাস্টি বোর্ড করে দেওয়া হয় শ্রী সুরুরা মা কমলাকামিনি ভোলানাথ ট্রাস্ট বোর্ড। সেই ট্রাস্ট বোর্ডের উদ্যোগেই এই মন্দিরটি করা হয়। ট্রাস্ট বোর্ডের তরফ থেকেই মন্দির কমিটি করে দেওয়া হয়।”
advertisement
আরও পড়ুন: শহরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই! হামাগুড়ি দিয়েই জীবন কাটছে গোটা গ্রামের মানুষের! জানুন
স্নেহাশীষ বাবু আরও জানিয়েছেন ২০১৯ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর সময় লাগে মন্দিরটি তৈরি করতে। জানা গেছে গ্রামের সকল জনসাধারণের সাধ্যমত অর্থ সাহায্য এবং আশপাশের গ্রামের কিছু শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তির অর্থানুকূল্যে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই মন্দিরটি।যেহেতু মা কালীর মন্দির তাই গ্রামের সবার মতামত নিয়েই দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরি করা হয় মন্দিরটি।
আরও পড়ুন: ‘ভোট এলেই ভয় লাগে!’ বোমায় উড়ে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়ের হাত! কেমন আছে পৌলমী? আজও চোখে মুখে আতঙ্ক!
মন্দিরটি নির্মাণ করার জন্য মুর্শিদাবাদ থেকে কারিগর নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এই মন্দির দর্শনের জন্য। শ্রী সুরুরা গ্রামের এই মন্দিরে রক্ষাকালীর বাৎসরিক পুজো অনুষ্ঠিত হয় অগ্রহায়ন মাসের শেষ শনি অথবা মঙ্গলবার।এই প্রসঙ্গে স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেন, অঘ্রাণ মাসের শেষ যে শুনি অথবা মঙ্গলবার পড়বে সেই দিন মায়ের বাৎসরিক পুজো হয় আমাদের এই মন্দিরে প্রত্যেকদিন অন্য ভোগের কোন ব্যবস্থা নেই কিন্তু বাৎসরিক পুজোর সময় ৮ থেকে ৯ হাজার মানুষের মহোৎসব হয়।” এছাড়া এই মন্দিরটিতে প্রত্যেক শনিবার মঙ্গলবার ও অমাবস্যায় রক্ষাকালী মাতার পুজো হয়।
Bonoarilal Chowdhury