আয়ুষী জানিয়েছে, কিভ বা খারকিভ শহরে থাকা বন্ধুবান্ধবদের মুখে বোমা পড়া ও রুশ হানার খবর পেয়ে আর শান্ত হয়ে বসে থাকতে পারেননি। এ সবের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলে দেওয়া হয় দ্রুত শহর ছাড়তে হবে। এরপরই বাকি পড়ুয়াদের সঙ্গে আয়ুষী প্রথমে একটা বাসে করে রওনা দেয় পোল্যান্ডের দিকে। কিন্তু যানজটে আটকে পড়ে বাস। সেখানেই বাধ্য হয়ে নেমে পড়েন তিনি ও ২০ জনের একটি দল। এরপর টানা ৫০ কিলোমিটার হাঁটা। মাইনাস ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা, ভয়ংকর সেই অভিজ্ঞতার কথা জানান আয়ুষী। পোল্যান্ডে এসে বেশ খানিক পথ পেরিয়ে তাঁরা সীমান্তে আসেন। সাহায্য মেলে ভারতীয় দূতাবাসের। আয়ুষী জানিয়েছেন, দেশে ফেরার আগে সমস্ত আটকে পড়া পড়ুয়াদের খুব সাহায্য করেছে ভারত সরকার। দেশে ফেরার পরে একেবারে বাড়ি অবধি পৌঁছনোর সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি আরও জানান, গত সাতদিনে তাকেও প্রতি মুহূর্তে নিজের সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়েছে। শারীরিক আর মানষিকভাবে সে কার্যত বিপর্যস্ত। হাতে পায়ে ব্যাথা রয়েছে। তবে মায়ের কোলে ফিরতে পেরে সব যন্ত্রণার কথা ভুলে যেতে চাইছেন আয়ুষী।
advertisement
অন্যদিকে, আয়ুষীর মা সুইটি আগরওয়াল মেয়েকে ফিরে পাওয়াকে ভগবানের আশীর্বাদ বলে জানিয়েছেন (East Bardhaman News)। কলকাতা বিমানবন্দরে আয়ুষীকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। জেলাশাসক, পূর্ব বর্ধমানের পক্ষ থেকে জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আধিকারিক ও পরিবারের তরফে আয়ুষীর বাবা সুশীল কুমার আগরওয়াল, মা সুইটি আগরওয়াল ও আয়ুষীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান। আয়ুষীকে এরপর বর্ধমানের উল্লাসে তার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও তাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা জানানো হয়।
Malobika Biswas