এই মূর্তিটি একাদশ-দ্বাদশ শতকে নির্মিত বলে অনুমান ইতিহাসবিদদের(East Bardhaman News)। কয়েকদিন আগেই অজয় নদের এই একই জায়গা থেকে জেলেদের জালের সঙ্গে উঠে এসেছিল দুটি বিষ্ণুমূর্তি। এদিনও নদীতে মাছ ধরার সময়, জটাই ধীবর নামে এক জেলের জালে উঠে আসে পূর্ণাঙ্গ সূর্যদেবের মূর্তিটি।কিন্তু একই জায়গা থেকে একের পর এক প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারের কারণ কি? এই বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক স্বপন ঠাকুর বলেন, "এটা স্পষ্ট যে এক সময় এলাকায় বিষ্ণুদেবের পাশাপাশি সূর্যদেবেরও উপাসনা হত। পরবর্তীকালে বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় অথবা হিন্দুধর্ম বিরোধীদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এই সমস্ত মূর্তিগুলি স্থানীয় জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেগুলি উঠে আসছে"। যেভাবে বার বার মূর্তি উদ্ধার হচ্ছে অজয় নদ থেকে, তার ফলে বাড়তি নজর দেওয়া উচিৎ, এমনটাই চাইছেন স্থানীয়রা। খননকার্য হলে জল থেকে আরও মূর্তি উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
advertisement
প্রসঙ্গত, মঙ্গলকোটে রয়েছে দুটি সতীপীঠ। এছাড়া প্রাচীন সভ্যতার বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে ইতিপূর্বে। সেগুলি কখনও অজয়ের জল থেকে অথবা ব্যক্তিগতভাবে খোঁড়াখুঁড়ির সময় উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে উপেক্ষিত থেকে গেছে মঙ্গলকোটের প্রাচীন ইতিহাস। এনিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় খনন কার্য চালাক পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
Malobika Biswas