তিনি অবিবাহিত। কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বরকত। দিনপাঁচেক আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। এদিন দুপুরে বাবা সামসুল আলির সঙ্গে বাড়ির গবাদি পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। যেখানে তাঁরা ঘাস কাটছিলেন ঠিক তার কিছুটা পাশেই রয়েছে ওই দিঘিটি। মাছের খাবার ছড়ানোর জন্য দিঘিতে একটি কাঠের নৌকা রাখা ছিল।
আরও পড়ুনঃ দামী গাড়িতে করে চোলাই মদ পাচার! গ্রেফতার দুই
advertisement
সামসুল আলি বলেন, ’নৌকাটি দেখে দিঘিতে ঘুরে আসার সখ হয় ছেলের। আমাকেও যেতে বলেছিল। কিন্তু ঘাস কাটার তাড়া থাকায় আমি যায়নি। তখন ছেলে একাই চলে যায়’। জানা গিয়েছে, ঘাস কাটা শেষ হওয়ার পর ছেলেকে ডাকতে যান সামসুল আলি। কিন্তু তিনি দিঘির পাড়ে গিয়ে দেখেন মাঝ জলে নৌকাটি ভাসছে। ছেলে নেই। এই দেখে তিনি চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করেন। তাঁর চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসে। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।
আরও পড়ুনঃ সেরা পুলিশ ইউনিটের সম্মান পেল জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ
তার মধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরাও চলে আসে ঘটনাস্থলে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের লোকজনের সঙ্গে আতিয়ার রহমান মল্লিক, মধূময় বাগদি, ভগীরথ বাগদি, তোতা দাস সহ কয়েকজন গ্রামবাসী নৌকা নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। শেষে ওই গ্রামবাসীরা যুবকের মৃতদেহটি দিঘির জল থেকে তোলেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
Malobika Biswas