শোকের ছায়া দরিদ্র আদিবাসী মহিলার পরিবারে। তবে আর্থিক অবস্থা এতটাই করুন যে সুদূর দক্ষিণ ভারত থেকে দেহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বাড়িতে। স্থানীয়রা কিছু সাহায্য করেছে বটে , তবে তা যথেষ্ট নয়। তাই প্রশাসনের সাহায্যের আসায় বসে আছেন সোনামণি সরেনের পরিবার। বাড়িতে দুই ছেলে মেয়েকে রেখে সংসার চালানোর দায়ে তামিলনাড়ুতে গিয়েছিলেন এই সোনামণি। সেখানেই একটি অপরিচ্ছন্ন ঘরে থাকতেন তিনি। সেখানেই সাপে কামরায় তাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার চালু হতেই গুসকরার শিবিরে উপচে পড়া ভিড়!
এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন সোনামণিকে। সোনামণির মৃত্যুর খবর আসে পরিবারের কাছে। শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার সহ গোটা গ্রামে। মৃতদেহ অনার চেষ্টা শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তবে আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হওয়ায় মৃত দেহ আনতে বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। আর এরই মধ্যে স্থানীয়রা বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত।
আরও পড়ুনঃ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার মৃত্যু হল এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের
এদিকে খবর পেয়ে ওই আদিবাসী পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা। অন্যদিকে মৃতের পরিবারের সদস্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সাংসদের নির্দেশেই জেলা সভাপতি সেই মৃত পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করেছে।
Malobika Biswas