এই সজারুকে নিজেদের আয়ত্তে আনতে এক প্রকার কালঘাম ছুটে যায় তাদের। অবশেষে বনদফতরের আধিকারিকরা সজারুটিকে ধরতে সক্ষম হয়। সেটিকে খাঁচা বন্দি করে আনা হয় কাটোয়ার রেগুলেটেড মার্কেটের নার্সারিতে। আপাতত সেখানেই আছে সজারুটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় হঠাৎ করে এই প্রাণীকে দেখে সকলেই কার্যত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। অবাক হয়ে যেতে হয়েছিল কারণ, সজারুকে লোকালয় দেখা দুষ্কর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে ভাতার প্রাণিসম্পদ দফতরের বিশেষ উদ্যোগ
আর সেই সজারু তাদের এলাকার লোকালয় চলে এসেছে। লোকজন জড়ো হতেই বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। বনদ দফতরের আধিকারিকরা এসেই সজারুটিকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ ভালোই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল। এদিকে, বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সজারুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে পাঠানো হবে বর্ধমানের রমনাবাগান চিড়িয়াখানায়। বন দফতরের কর্মীদের অনুমান, একটা সজারু যদি এই এলাকায় দেখা যেতে পারে, তাহলে আরও সজারু রয়েছে কাটোয়া শহরে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লাইগেশন অপারেশন চালু হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা
তাই ওই এলাকাতেই খোঁজ চালানো হচ্ছে। কাটোয়া রেঞ্জের বনাধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা জানান, সজারুটির বয়স আনুমানিক ৭-৮ বছর। এটি একটি পুরুষ সজারু। সাধারণত হিমালয় পর্বতমালায় এই সজারু দেখা যায়। হয়তো সজারুটি ভাগীরথীতে ভেসে কাটোয়ায় চলে এসেছে। খাদ্যের সন্ধান করতে করতে হয়তো লোকালয়ে চলে এসেছে এই সজারুটি । এলাকায় আরও সজারু আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
Malobika Biswas