লরি চুরির ঘটনার সময় সে ২০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লরি চুরির পরিকল্পনার মাস্টার মাইন্ড এই সমরেশ । গত ২০ অক্টোবর রাতে মেমারি-তারকেশ্বর রোডে আঝাপুর এলাকা থেকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার অভিযোগে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের নাম কার্তিক দে, সুরজ কুমার রজক, বিমলেশ কুমার ঠাকুর ও বিশাল কুমার সিং। ধৃতদের মধ্যে কার্তিক ও সুরজকে আদালতে পেশ করে চার দিন হেফাজতে নেয় পুলিশ।
advertisement
দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লরি চুরিতে সমরেশের জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। কার্তিকের বাড়ি জামালপুর থানার উদয়পুরে। বাকিদের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার বিরুডিহা ও পানাগড় বাজার এলাকায়। লরি চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে জামালপুর থানার তদন্তকারী অফিসার বর্ধমান সংশোধনাগারে গিয়ে চার জন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আর তখনই এই লরি চুরির ঘটনায় সমরেশের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, লরি চুরি করার পরের দিনই সমরেশ বর্ধমান সংশোধনাগারে আত্মসমর্পণ করেছিল।
আরও পড়ুনঃ জগদ্ধাত্রী পুজোয় বটতলা উন্নয়ন কমিটির থিম সূর্য দেবতার রথ
স্বাভাবিকভাবেই লরি চুরিতে যে সমরেশ জড়িত থাকতে পারে তা পুলিশের কল্পনার বাইরে ছিল। লরি চুরিতে পাঁচ জনের জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ এক মাস ব্যাপী নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে আউশগ্রামে
লরি উদ্ধারের জন্য এবং ধৃতদের কাজকর্মের বিষয়ে বিশদে জানতে সমরেশ ও কার্তিক কে সাত দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানালে বিচারক দু’জনকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৪ নভেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।
Malobika Biswas