তারই ভিত্তিতে শহরের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে প্রশাসন ও টোটো মালিকদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিধায়ক, কাউন্সিলার ও টোটো চালকদের উপস্থিতিতে সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকে প্রসাশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, শহরে ৪ হাজার ১০০ টি টোটো চলবে। সেটাও দুটো শিফটে ভাগ করে দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত থেকেও কোনও টোটো শহরে প্রবেশ করবে না। জরুরি প্রয়োজনে ছাড়া। এমনকি টোটোর কাছ থেকে কেউ এক টাকাও দাবি করতে পারবে না, কোনও জায়গায়। যদি কেউ টোটো চলাচলের জন্য টাকা দাবি করে তাহলে সরাসরি প্রশাসনকে জানাতে পারবেন সেই টোটো চালক।
advertisement
আরও পড়ুন West Bardhaman News: হিমালয়ের বুকে কঠিন উদ্ধার লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন অভিযাত্রী
জেলা পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, " কোন তোলাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। কিসের জন্য তোলাবাজি দেবেন? সেটা স্টেশন এলাকাই হোক বা তেলিপুকুর। আমি দেখতে চাইছি বর্ধমান শহরে কে কত বড় গুন্ডা আছে।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, " এরপর কেউ তোলাবাজি করলে আমার অফিসে এসে সরাসরি আমাকে বলবেন।"
উল্লেখ্য, শহরের রাস্তায় চলে এমন ৩ হাজার ৩০০ টোটো চালক যারা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা কিন্তু এখনও নিজেদের নামে টোটো নথিভুক্ত নেই, তাদেরকে আগামী ১০ থেকে ১৫দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের এফিডেভিট করা কাগজ জমা করতে বলা হয়েছে। তারপর সেই সমস্ত কাগজ খতিয়ে দেখে তাদের টোটো গুলিকেও রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। রেল স্টেশন ও তেলিপুকুরে টোটো পিছু টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আর এদিন প্রকাশ্য সভায় জেলা পুলিশ সুপারের এই বক্তব্যের পরই শহর জুড়ে জোর আলোড়ন ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। অবশেষে বর্ধমান শহরের রাস্তায় টোটোর কারণে যানজট সমস্যার সমাধান করতে চলেছে জেলা প্রশাসন।
Malobika Biswas