আমরা জানি, হলুদ রঙ হচ্ছে সতর্কের সংকেত। যে কোনও ট্রাফিক সিগন্যাল কিংবা যে কোনও রকম বিপদ সংকেতের জন্য এই হলুদ রঙ ব্যবহার করা হয় বিশেষ সতর্কতার জন্য। তবে মূলত জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কের উপর প্রায়শই এই ধরনের হলুদ রঙের দাগ দেখা দেয়।
ট্রাফিক সিগন্যালের ক্ষেত্রে হলুদ রঙের ব্যবহার জানলেও অনেকেই আজও সড়কের উপর এই হলুদ রঙের দাগ সম্পর্কে অজ্ঞাত। তাই অনেক সময় যাতায়াতের ক্ষেত্রে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন গাড়ি চালক-সহ যাত্রীরা। না জেনেই তারা এই হলুদ সংকেত এড়িয়ে গতিতে সড়কের উপর যাতায়াত করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- বাসিন্দারাই নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে ফেলল নদী পারাপারে বাঁশের সেতু
আসলে এই হলুদ রঙের দাগকে সিরিজ অফ ইয়েলো লাইন বলা হয়। এই সিরিজ অফ ইয়েলো লাইন বিশেষত রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কের উপর দেওয়া হয়। সামনে কোনওরকম জনবহুল স্থান অথবা স্কুল, হাসপাতাল কলেজ, বাজার, উঁচু-নিচু রাস্তা, রাস্তার বাঁক, স্পিড ব্রেকার ইত্যাদি থাকলে এই সিরিজ অফ ইয়েলো লাইন দেখে চালক সতর্ক হতে পারেন।
এই হলুদ দাগের উপর পারাপারের সময় গাড়ির ক্ষেত্রে একটি কম্পন অনুভব হয়। যা সামনে থাকা বিপদমুখী কোনও অবস্থাকে এড়ানোর জন্য সতর্ক হওয়ার বার্তা দেয় চালকদের। শুধু ট্রাফিক সিগনালের ক্ষেত্রে হলুদ সংকেত জানলে হবে না, যে কোনওরকম দুর্ঘটনা বা গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপদ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে এই সংকেত।
জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ম্যানেজার পি. ভেনকাটা স্বামী জানান, “রাজ্য সড়ক কিংবা জাতীয় সড়কে মানুষকে যাতায়াত করার সময় সড়কের সমস্ত রকম সতর্ক চিহ্ন মেনে চলা জরুরি। এমন সতর্ক চিহ্ন মেনে চললে সাধারণ মানুষ কিংবা গাড়ি চালক যে কোনও রকম পথ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন। এই হলুদ সংকেত হচ্ছে গাড়ির গতি সীমিত করতে হবে। কম্পনের মাধ্যমে গাড়ি চালককে অনুভব করানো যে এবার গাড়ির গতি ধীরে করতে হবে।”
জিএম মোমিন





