পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করে জানান, তাঁর বেডরুমে অদ্ভুত কার্যকলাপ দেখে সন্দেহ হয়। তিনি এবং তাঁর স্বামী রাতে ঘুমোচ্ছিলেন কিন্তু কিছু অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ভূত বা অন্য কোনও কিছু ভেবেছিলেন, তাই আদৌ কী ঘটছে বোঝার জন্য বেডরুমে মোশন অ্যাক্টিভেটেড সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে দেন। আর তাতেই ধরা পড়ে সাংঘাতিক ঘটনা।
advertisement
ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাতে শাশুড়ি বেডরুমে ঢুকে পড়েন। মহিলার দাবি, শাশুড়ি শুধু ঘরে ঢোকেননি, ঘুমের মধ্যেও তাঁর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে অদ্ভুত সব মন্তব্য করেছেন।টিকটকে পোস্ট করা ভিডিওটি এখন পর্যন্ত কয়েক লক্ষ ভিউ পেয়েছে। ভিডিওতে কোনও অডিও নেই, তবে পাঠ্য ওভারলেগুলির মাধ্যমে, মহিলা বলেছিলেন শাশুড়ি তাঁর স্বামীর সম্পর্ক সম্পর্কে বেশ কয়েকবার নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন, যেমন ‘আপনি এটির যোগ্য নন’ বা ‘আমি আপনাকে ঘৃণা করি।’ পরিস্থিতি মহিলাকে আরও অস্বস্তিকর করে তুলেছিল কারণ তিনি প্রথমে তার শাশুড়িকে একজন দয়ালু এবং যত্নশীল মা হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখার পর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। কিছু ব্যবহারকারী এটিকে ‘গোপনীয়তার উপর গুরুতর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কীভাবে কেউ কারও বেডরুমে ঢুকে পড়তে পারে? একই সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যবহারকারী ওই নারীকে তার স্বামী ও শাশুড়িকে দ্রুত বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেন।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা শুধু শাশুড়ির সমস্যা নয়, স্বামীরও এ বিষয়ে জানা উচিত ছিল। গোটা পরিবারকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে।
এ ধরনের ঘটনা আগেও সামনে এসেছে। অতীতের আরও কয়েকটি ঘটনার মতোই এই মামলাটি। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে, একজন রেডিট ব্যবহারকারী শেয়ার করেছিলেন যে তার শাশুড়ি গোপনে তার শোবার ঘরে একটি ক্যামেরা রেখেছিলেন যাতে তিনি তার স্বামীর সঠিকভাবে যত্ন নিচ্ছেন কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য। সেক্ষেত্রেও শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছিলেন ওই মহিলা। একইভাবে, ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে এক ব্যক্তি সিসিটিভি লাগিয়েছিলেন, যাতে ধরা যায় তার স্ত্রী তার মাকে মারধর করছেন, যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়।