আরও পড়ুন-বার বার কানে বাজছে একই সুর, রহস্যময় এই অনুভূতির পিছনে কি আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে?
সম্প্রতি গুজরাতের মণিনগর এলাকার এক তরুণী স্থানীয় অভয়ম নামের নারী ও শিশু কল্যাণ কমিশনের দফতরে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ শুনে ওই সংস্থার আধিকারিকদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তাঁর অভিযোগ, বছর চারেক আগে তাঁর দিদির বিয়ে হয়। এরই মধ্যে ওই তরুণীর বড় বোন শ্বশুরবাড়িতে তাঁর দেওয়ের সঙ্গে গোপন প্রেমের সম্পর্কে অর্থাৎ পরকীয়ায় লিপ্ত হন। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে স্বামী ও অন্যান্য সদস্যরা এই পরকীয়ার সম্পর্ক জেনে ফেলার আগেই তা ধামাচাপা দিতে উদ্যত হন অভিযোগকারী ওই তরুণীর বড় বোন ও তাঁর দেওর। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। এর পর দেওরের সঙ্গে গোপন প্রেমের সম্পর্কের কথা নিজের ছোট বোনকে খুলে বলে বলেন দিদি।
advertisement
আরও পড়ুন-আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি রাজ্যের এই জেলাগুলিতে, কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে ?
জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত দিদিকে বাঁচাতে নিজের অপছন্দ স্বত্ত্বেও দিদির দেওরকে বিয়ে করেন অভিযোগকারী তরুণী। কিন্তু দিদির পরকীয়ার সম্পর্ক থেমে থাকেনি। শ্বশুরবাড়িতে ওই তরুণীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন গোপন প্রেমে আবদ্ধ প্রেমিক-প্রেমিকা ওই তরুণীর বড় বোন এবং তাঁর স্বামী। এর পর ওই অত্যাচারের কথা শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন বছর ২৩-এর ওই নির্যাতিতা তরুণী। বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন নির্যাতিতা। এমনকী, নির্যাতিতা ওই তরুণীর আরও অভিযোগ তাঁর সঙ্গে তাঁর স্বামী শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকার করতেন নিয়মিত।
শুধুমাত্র গোপন পরকীয়ার সম্পর্ক ধামাচাপা দিতেই তাঁরা এই বিয়ে করেছেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতা ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অভয়ম মহিলা কমিশনে ওই তরুণীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার বন্ধের মুচলেকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা তুলেছেন বলে জানা গিয়েছে।