মেয়ের এই কীর্তিতে আপ্লুত তার মা কবিতা মোহান্ত। তিনি বলেন, “বাবা-মা হিসেবে আমরা খুবই খুশি হয়েছি চেষ্টা করব ও যেন আরও উন্নতি করতে পারে। বাড়ির লোকজন গ্রামের লোকজন-সহ আত্মীয়-স্বজন সকলেই খুব খুশি হয়েছে আমরা।”
advertisement
পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের এড়াল অঞ্চলের নেউলবাঁধি গ্রামে বাড়ি বিস্ময় শিশু ঐন্দ্রি মোহান্তর। বাবা উৎপল মোহান্ত বর্তমানে তিনি বিএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত। বাড়িতে ঐন্দ্রিকে সবথেকে বেশি সময় দেন মা কবিতা দেবী। কবিতা দেবীর প্রচেষ্টাতেই ছোট্ট ঐন্দ্রির এই অল্প বয়সেই এত জ্ঞান।
আরও পড়ুন: ইলিশ, ভেটকি ছাড়ুন…! শিশুদের বেশি করে খাওয়ান ‘এই’ মাছ! প্রোটিন-ক্যালসিয়ামে ভরপুর
তবে শুরুটা হিয়েছিল একটু অন্যরকম ভাবে। এই প্রসঙ্গে কবিতা দেবী জানিয়েছেন, ওর বয়স যখন সাত মাস কেবল অন্নপ্রাশন হয়েছে তারপর থেকেই ওর কিছু কিছু জিনিস লক্ষ্য করি। যেমন ও যখন কান্নাকাটি করত তখন ওকে কোনও খেলনা দিয়ে বা মোবাইল ফোন দিয়ে চুপ করানো যেত না সেই জায়গায় যদি ওকে পড়ার বই সামনে রেখে পড়ানো হত তাহলে সেটাও খুব মন দিয়ে শুনত। যখন ওর প্রায় ১ বছর ৭ মাস বয়স হয় তখন ও ঠিকমত কথা বলতে পারত না।
কবিতা দেবী আরও বলেন, “কিন্তু মেয়ের এখন প্রায় দু বছর বয়স হল। ও কিন্তু সাধারণ বাচ্চারা যে কথাগুলো বলে সেগুলো এখনও পর্যন্ত বলতে পারে না। অথচ যখন ওর ১ বছর ৮ মাস বয়স তখন আমি ওকে বর্ণমালা ক্যালেন্ডার দেখিয়ে কথা বলার সব অক্ষরগুলো চেনাচ্ছিলাম। তখন আমি দেখলাম এই শব্দগুলোকে ও খুব সহজেই মনে রাখতে পারছে। তখন থেকে এভাবেই ওকে শেখাতে আরম্ভ করি।”
বিস্ময় শিশু ঐন্দ্রির মা কবিতা দেবী আরও জানিয়েছেন, এখানেই শেষ নয়। ওকে আরও ভালভাবে শিক্ষাদান করার চেষ্টা করব। চাইব, আগামী দিনে ঐন্দ্রি যেন আরও ভাল জায়গায় পৌঁছতে পারে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী