জানা গিয়েছে, তাঁর হাত-পা ছিল কাপড় দিয়ে বাঁধা। গাড়ির জানালা বন্ধ, গরমে ভিতরের তাপমাত্রা তখন ধ্বংসাত্মক স্তরে পৌঁছেছে। এমন দৃশ্য দেখে হতবাক নিরাপত্তারক্ষী ছুটে আসেন সাহায্যের জন্য।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ে সু*ইসা*ইড নোট, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বি*ষ খেয়ে চরম সিদ্ধান্ত মণীষার…
গাড়িটি অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে পার্ক করা ছিল। ডিউটিরত নিরাপত্তারক্ষী বিষয়টি লক্ষ্য করেন এবং গাড়ির দিকে এগিয়ে যান। জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই তিনি দেখেন এক বৃদ্ধ ব্যক্তি নিথর অবস্থায় শুয়ে আছেন, তাঁর হাত ও পা কাপড় দিয়ে বাঁধা। অবস্থা এমনই গুরুতর ছিল যে দ্রুত জানালা ভেঙে বৃদ্ধকে বের করে আনেন কর্মীরা। তাঁকে জল দেওয়া হলেও তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।
advertisement
বৃদ্ধের অবস্থার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে পাঠানো হয় এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘক্ষণ গাড়ির ভিতর তীব্র গরম ও বাতাসহীন অবস্থায় থাকার ফলে তাঁর অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: গলায় সাপ জড়িয়ে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যক্তি! কোবরা দিল ছোবল, তারপর যা হল…
ঘটনাস্থলে থাকা পর্যটন গাইড মোহাম্মদ আসলাম বলেন, “বৃদ্ধের হাত-পা বাঁধা, মুখে কথা নেই। দৃশ্যটা খুবই দুঃখজনক ছিল।” গাড়ির উপর ‘মহারাষ্ট্র সরকার’ লেখা স্টিকার এবং মহারাষ্ট্র নম্বর প্লেট দেখে অনুমান করা হয়, একটি পরিবার মহারাষ্ট্র থেকে আগ্রা বেড়াতে এসেছে। গাড়ির ছাদে বাঁধা ছিল প্রচুর লাগেজ।
এতকিছুর পর প্রশ্ন উঠছে—পরিবার কোথায় গেল? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁরা বৃদ্ধকে গাড়িতে ফেলে রেখে তাজমহল দেখতে চলে গিয়েছিল। এক বৃদ্ধ মানুষকে গরমে অচেতন করে গাড়িতে ফেলে রেখে বেড়াতে যাওয়া কীভাবে সম্ভব, এই প্রশ্নে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে আগ্রা শহরে।
ইন্সপেক্টর কুंয়ার সিং জানিয়েছেন, “এই ঘটনাটি অবহেলা না অমানবিক আচরণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ির মালিক কে এবং ঘটনাটি কেন ঘটল, তা জানার জন্য পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের শনাক্ত করলেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আগ্রা পুলিশ।
এই ঘটনায় যেমন মানুষের মানবিকতার অবক্ষয় স্পষ্ট হয়েছে, তেমনি প্রশাসনের সক্রিয়তা আরও একবার প্রমাণ করল—ভালো কিছু এখনো বেঁচে আছে।
