বাংলায় বরাবরই বেশ জনপ্রিয়, চাইনিজ থেকে হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। লুচি আলু-কষা বা পাঁঠার মাংসের মতোই বাঙালির পাতে জায়গা করে নিয়েছে দেশ বিদেশের নানা খাবার। সুস্বাদু সবরকম খাবারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে সাদামাটা ' ইডলি'। কমবেশি সারা বছর ভালো চাহিদা থাকে ইডলির। তবে গরমের এই দাবদাহে চাহিদা বেড়েছে আরও। চাল আটা ও পরিমাণ মত ডালের মিশ্রণে তৈরি হয় ইডলি। এই ইডলি বাঙালির ভাপা পিঠার আত্মীয় বলা চলে। তেল মশলা ছাড়া খাবার, চাহিদা বারার অন্যতম কারণ। ক্রেতা অমিত বসাক জানান, এই গরমের সময় মসলা ছাড়া খাবার বলতে এই ইডলির জুড়ি নেই। বিশেষ করে গরমের সময় শরীর সুস্থ রাখতে খাওয়া হয় ইডলি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪ মাসের ছোট্ট বোনের কান্না থামাতে কী বলল 'বড়' দিদি...? নেটপাড়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও
আরও পড়ুন: চা না কফি...? গরমে ভুলেও খাবেন না কোন পানীয়? বিরাট ভুল করছেন না তো? সতর্ক হন!
হাওড়ার আলামপুর জঙ্গলপুর এলাকায় ইডলি পাওয়া যায় নিয়মিত। তবে নেই কোনও স্থায়ী দোকান। বেশ কয়েকজন বিক্রেতা রয়েছে যারা নিয়মিত কন্টেনারে করে ইডলি ব্যবসা চালাচ্ছেন ১০-১২ বছর। ভাল ব্যবসা হচ্ছে দেখে শুরু করেছে দু'বছর। বেশ সুস্বাদু এবং দামও ন্যায্য।আলমপুর ধুলাগড় জঙ্গলপুর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতিদিন সকালে দেখা মিলবে ইডলি ফেরিওয়াল। বড়বাজার থেকে ইডলি তৈরি করে নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন চলে বিক্রি। দিন শেষে আবার ফিরে যান। এভাবেই বেশ কয়েকজন ইডলি বিক্রেতার প্রতিদিনের ব্যবসা চলছে হাওড়ায়। তাঁদের কথায় জানা যায়, কয়েক বছরে ধীরে ধীরে ইডলির চাহিদা বাড়ছে।
বিক্রেতারা প্রায় ১৫০ -২০০ টি ইডলি নিয়ে আসেন। আবার কেউ তারও বেশি আনেন। ইডলির সঙ্গে কেউ রাখেন ধোসাও। সঙ্গে সুস্বাদু চাটনি, তিন পিস ইডলি এক প্লেটের দাম মাত্র কুড়ি টাকা। বিক্রেতা নরেশ রাম জানান, প্রতিদিন সকাল ৯ টার মধ্যে বড়বাজার থেকে আলামপুরে আসি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বিক্রি। তারপর আবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে ফিরে যাই। তিনি আরও জানান, হাওড়ার অনেক মানুষই রাস্তার ধারে অপেক্ষায় থাকেন ইডলির।
রাকেশ মাইতি