কোচবিহার জেলা পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন, "রাজ আমলের প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই লেবার কমিশনারের অফিসটি সংস্কার করার কাজ করা হচ্ছে। ভবনটি সংস্কারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বালির সঙ্গে ইটের গুঁড়ো, চুন, ঝোলাগুড়, মেথি ভেজানো জল। এই সংস্কার কাজে মোট খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস রোগীর শরীর থেকে শুষে নেয় Sugar! এই গাছের ছালের জুড়ি নেই Blood Sugar নিয়ন্ত্রণে!
advertisement
ঝোলাগুড়ে আঠালো ভাব বেশি থাকায় তা অন্য মশলাকে ধরে রাখতে বেশী সক্ষম। কোচবিহারে অধিকাংশ স্থাপত্য এই কায়দাতেই তৈরি করা হয়েছিল রাজ আমলে। তাই ওই স্থাপত্য গুলিকেও সংস্কারেও একই পন্থা নেওয়া হবে। পোকামাকড় যাতে ভবনের দেওয়ালে বাসা বাঁধতে না পারে সেইজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে চুন ও মেথির জল। তবে এই গোটা সংস্কারের কাজে সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে নামমাত্র।"
এই গোটা কর্মকাণ্ড যার হাতে রূপ পাচ্ছে সেই রাজমিস্ত্রি রেজাউল হক জানান, "ছয় ভাগ মশলা হলে তারমধ্যে চুন, ঝোলাগুড় ও ইটের গুঁড়ো থাকছে আড়াই-তিনভাগ, বাকিটা বালি, সামান্য পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে সিমেন্ট। আর তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে প্রায় ১ লিটার মেথির জল। প্রায় তিন মাস যাবৎ চলছে এই গোটা কাজ। আগামী দশ দিনের মধ্যে সম্ভবত এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।" ১৯৫০ সালে রাজ আমলে বিভিন্ন অবসান তৈরি করা হয় কোচবিহারে শহরে। রাজ আমলের একাধিক ভবন ও নানা নিদর্শন রয়ে গিয়েছে কোচবিহার শহরের বুকে এখনও পর্যন্ত। তবে তার মধ্যে হেরিটেজের প্রাথমিক তালিয়ায় নাম রয়েছে ১৫৫টি ঐতিহাসিক নিদর্শনের। সম্প্রতি হেরিটেজ ফান্ডের টাকায় বেশ কিছু স্থাপত্য সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইমতোই এই কাজ শুরু করছে পূর্ত দফতর।
সার্থক পণ্ডিত